গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামী স্ত্রী প্রতারনায় জান্নাত ইলেকট্রনিকস এন্ড ইলেকট্রিকের দোকান থেকে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ২,৭০,০০০/-টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে এনামুল হক ও তার স্ত্রী শাহানাজ আক্তার জাহানের বিরুদ্ধে।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, জান্নাত ইলেকট্রনিকস এন্ড ইলেকট্রিকের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির ডিউয়ের মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবসা থাকায় আসামি মোছা.শাহানাজ আক্তার জাহান,স্বামী. এনামুল হক,গ্রাম.কাটাবাড়ি দক্ষিনপাড়া, ইউপি.আড়িয়া, থানা.শাহজানপুর, জেলা বগুড়া। মো.এনামুল হক,পিতা. ছামসুল হক,গ্রাম তুলসীপুর,পোস্ট লাটের হাট থানা. বীরগঞ্জ জেলা. দিনাজপুর।
আসামী গোবিন্দগঞ্জে ৬নং ওয়ার্ডের ঝিল পাড়ার জাহিদুল ইসলামের একটি ভাড়া বাসায় থাকিয়া শাহানাজ আক্তার জাহান বুটিক্স এর ব্যবসা করিয়া আসিতেছিল। এনামুল হক কিউট কোম্পানিতে এসআর হিসেবে গোবিন্দগঞ্জে থানা চারমাথায় একটি ডিলার পয়েন্টে চাকুরি করিয়া আসিতেছিল। শাহানাজ আক্তারের ব্যবসায়িক লেনদেন এবং এনামুল হকের চাকুরির সুবাদে বাদী হুমায়ুন কবির ডিউয়ের সাথে পরিচয় হয়। সেই সুবাদে নগদ এবং বিকাশের মাধ্যমে কখনো ২০ হাজার কখনো ৫০ হাজার আবার কখনো ১লক্ষ টাকা লেনদেন করত। যার কারনে আসামীর প্রতি বাদীর বিশ্বাস অর্জীত হয়।
এরই সুবাদে কখনো কখনো বাকিতেও লেনদেন হতো বাদি এবং বিবাদীর মধ্যে। তারই সুবাদে প্রথম দফায় ৩০ হাজার টাকা ২টা নাম্বারে ৬০ হাজার দ্বিতীয় দফায় তিন বারে ২০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা নেয় এভাবেই চলতে থাকে একের পর এক মোবাইল নাম্বারে ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকার লেনদেন। বাকিতে টাকার লেনদেন হবার পরও বাদির সাথে বিবাদীর কথা হয় যে টাকা নিয়ে দোকানে আসছি৷
এরপর থেকেই আসামীর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকে। যা আজ অবধি এখনও খোলেনি৷ যদি কোন ব্যাক্তি ছবির দুটি ব্যাক্তিকে চিনতে পারেন বা বর্তমান ঠিকানা বিস্তারিত জানাতে পারেন তাহলে এই নাম্বারে যোগাযোগ করবেন। মোবাইল নং-০১৭১২-৮৩৩১৫৬। আপনার পরিচয় গোপন রাখা হবে। এছাড়াও পুরস্কৃত করা হবে৷
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রলয় বর্মা জানান, তদন্ত চলমান রয়েছে এবং আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টায় আছি। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদটি শেয়ার করুন,