১৯৭২ সালে চাঁদের বুকে পা রেখেছিল আমেরিকা। ৫২ বছর পর ২০২৪ সালে ফের চাঁদে পা ফেলতে চলেছে মার্কিন মুল্লুক।
দেশটির মহাকাশ সংস্থা নাসা এবং ইলন মাস্কের স্পেস এক্স মিলে হয়েছে মুন ল্যান্ডারের নামের একটি ওডিসিয়াস। এটি তৈরি করেছে ইনোটিভ মেশিন নামের একটি কোম্পানি। একে আইএম১ মুন ল্যান্ডারও বলা হচ্ছে। চলতি মাসের ১৪ তারিখে উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এটি স্থগিত করা হয়।
ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এই উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। স্পেসএক্সের ফ্যালকন ৯ রকেট ওডিসিয়াস ল্যান্ডারকে মহাকাশে পাঠানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে। মিশনের নাম নোটিভ মেশিনস নোভা-সি স্পেসক্র্যাফট। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে, ২২ ফেব্রুয়ারি চাঁদে এটি অবতরণ করবে। এই মুন ল্যান্ডারে সে দেশের কত খরচ হয়েছে?
এই ল্যান্ডারটি নাসার বাণিজ্যিক প্রোগ্রাম- লুনার পেলোড সার্ভিসের অধীনে তৈরি করা হয়েছে। এই মুন ল্যান্ডার লঞ্চের জন্য, নাসা ইনোটিভ মেশিনসের ১১৮ মিলিয়ন মার্কিন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে আমেরিকা
এর আগে এই মিশনটি ১৪ ফেব্রুয়ারি চালু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু উইন্ডো ফুয়েলের (মিথেনের তাপমাত্রার পরিবর্তন) সমস্যার কারণে তা হতে পারেনি। এর পরে এটি ১৫ ফেব্রুয়ারি চালু করা হয়েছে। উৎক্ষেপণ সফল হলে ২২ ফেব্রুয়ারি এই ল্যান্ডারটি চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে।
১৯৭২ সালের শুরুতে, নাসা তাদের শেষ চাঁদের ল্যান্ডার অ্যাপোলো ১৭ উৎক্ষেপণ করেছিল। এরপর আর চাঁদে পৌঁছানোর চেষ্টা করেনি আমেরিকা। তবে এবার এই মিশন কতটা সফল হয়, সেটাই দেখার।