২০১১ সালে বাংলাদেশে খেলে গেছে মেসিদের আর্জেন্টিনা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলেছিল মেসি-ডি মারিয়ারা। একযুগ পর সেই আর্জেন্টিনাকে আবারও ঢাকায় এনে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ আয়োজন করতে চায় বাফুফে। এবারের বাফুফের উদ্যোগ আরও বেশি গুরুত্ব বহন করে। কারণ, আর্জেন্টিনা ঢাকায় এলে সেটা হবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দলের প্রথম বাংলাদেশে আসা।
২০১১ সালে ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া ম্যাচ আয়োজনে বাফুফের খরচ হয়েছিল সাড়ে ৩ মিলিয়ন ডলার। এবার দেশটি আনতে দরকার হবে ৭ মিলিয়ন ডলারের মতো। আর প্রতিপক্ষ দল নিয়ে ম্যাচ আয়োজনে খরচ হতে পারে মোট ১০২ কোটি টাকা।
বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন সোমবার বলেন, ‘আমরা আর্জেন্টিনাকে আনার চেষ্টা করছি। এখনও জোরালো কিছু হয়নি। চেষ্টা করতে তো দোষের কিছু নেই। জুন-জুলাইয়ের আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম প্রস্তুত হওয়ার কথা। এ নিয়ে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মার্চের ফিফা উইন্ডোতে সম্ভব নয়। জুন-জুলাইয়ে আমরা চেষ্টা করবো।’
আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে এলে তাদের প্রতিপক্ষ কে হবে তা এখনো ভাবেনি বাফুফে। সালাউদ্দিন বলেন, ‘প্রতিপক্ষ কে হতে পারে সেটা এখনও চূড়ান্ত নয়। আর্জেন্টিনাকে আগে চূড়ান্ত করার পর প্রতিপক্ষ ঠিক করা হবে।’
বাফুফে এরই মধ্যে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে তাদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলকে ঢাকা এনে ম্যাচ খেলানোর আগ্রহের কথা প্রকাশও করেছে। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি। সেই অভিনন্দন বার্তায়ই বাফুফে সভাপতি মেসিদের আবার ঢাকায় আনার আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
আর্জেন্টিনার পাশাপাশি বাফুফে ফরাসি ক্লাব পিএসজিকেও ঢাকায় এনে ম্যাচ খেলানোর চেষ্টা করছে বাফুফে। আর্জেন্টিনাকে শেষ পর্যন্ত না পেলে পিএসজিই হতে পারে শেষ চেষ্টা। তবে বাফুফে সভাপতি এটাও বলেছেন, পিএসজির সঙ্গে মেসির চুক্তি না থাকলে ওই ক্লাবকে আনারও কোনো গুরুত্ব থাকবে না।