টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের শুধু হার নয় লজ্জার হার। একবারের জন্যে জোরেশোরে চিৎকার করে আবেদন করার সু্যোগও পায়নি ইন্ডিয়া। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০ উইকেটে উড়ে গেল রোহিত শর্মার ইন্ডিয়া।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক ঝড়ের সৌজন্যে ১৬৮ রান তোলে ভারত। হার্দিক ৬৩ রান করেন। বিরাট কোহলি করেন ৫০ রান। ভারতের রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড জয়ের রান তুলে নেয় মাত্র ১৬ ওভারে। ইংল্যান্ডের হয়ে অর্ধশতরান জস বাটলার এবং অ্যালেক্স হেলসের।
টসের সময় রোহিত জানিয়েছিলেন যে, তিনিও টস জিতলে আগে ব্যাট করতেন। অর্থাৎ টস হেরে খুব অসুবিধা হয়নি ভারতের। কিন্তু শুরুতেই ফিরে যান লোকেশ রাহুল। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশ এবং জ়িম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে রাহুল অর্ধশতরান করে ছন্দে ফিরেছেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যখন রাহুলের ব্যাটে বড় রান প্রয়োজন ছিল, তখন মাত্র ৫ বলে ৫ রান করে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিলেন তিনি।
রোহিত ২৭ রান করলেও খেলে ফেললেন ২৮টি বল। ভারত অধিনায়ক যদিও বেশ কিছু দিন ধরেই রানের মধ্যে নেই। এ বারের প্রতিযোগিতায় তিনি মাত্র একটি অর্ধশতরান করেছেন। সেটাও এসেছে নেদারল্যান্ডসের মতো দলের বিরুদ্ধে।
ভারতের স্কোরবোর্ডে ইনিংস শেষে যে ১৬৮ রান দেখাচ্ছে, সেটার জন্য কৃতিত্ব বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়ার। সূর্যকুমার যাদবও এ দিন ১০ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান। তার উইকেট তুলে নেন আদিল রশিদ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে একটি উইকেট পাওয়া স্পিনারই ভারতের রান আটকে দেন মাঝের ওভারে। প্রথম ১৫ ওভারে ১০০ রান তুলেছিল ভারত। সেখান থেকে শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রান তোলার পিছনে বড় ভূমিকা নেন হার্দিক।
বিরাট নিজের প্রিয় অ্যাডিলেডের মাঠে ৪০ বলে ৫০ রান করেন। এক দিক থেকে যখন উইকেট হারাচ্ছিল দল, বিরাটই আটকে রেখেছিলেন। শেষ বেলায় ঝড় তোলেন হার্দিক। তিনি ৩৩ বলে ৬৩ রান করেন। শেষ বলে হিট উইকেট হন হার্দিক।
শুরু থেকেই ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার বাটলার ও হেলস চড়া মেজাজে ব্যাট চালাতে থাকেন। শেষ অবধি একই গতিতে রান তুলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান এই দুইজন।