
এভাবে হয়তো তিনি দেশে ফিরতে চাননি। চিরতরে ঘুম পাড়িয়ে তাকে নিয়ে আসতেও চায়নি হয়তো কেউ। কিন্তু কপালের লিখন খণ্ডাবে কে? তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছে ঘানার উইঙ্গার ক্রিশ্চিয়ান আতসুর। প্রথমে বলা হয়েছিলো, তাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু খবরটি সত্য ছিল না। তার মৃতদেহই উদ্ধার করা হয়।
রোববার সন্ধ্যায় ক্রিশ্চিয়ান আতসুর মরদেহ পৌঁছায় ঘানার আক্রায়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভুমিকম্পের পর আতসু নিখোঁজ হয়ে পড়েন। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হাতায় একটি অ্যাপার্টমেন্টের ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েছিলেন তিনি। পরে ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
ঘানার আক্রায় যখন তার মরদেহ পৌঁছায়, তখন দেখা গেলো কফিনটি পুরো ঘানার পতাকা দিয়ে ঢাকা। আক্রার কোকোটা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহামুদু বাউমিয়া আতসুর লাশ গ্রহণ করেন। এ সময় তাকে সামরিক কায়দায় গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
বাউমিয়া বলেন, ‘আমার প্রতিদিন আশা করেছিলাম, তার জন্য প্রার্থনা করেছিলাম। কিন্তু যখন তাকে পাওয়া গেলো, তখন তিনি আর দুনিয়ায় ছিলেন না।’
ভুমিকম্পের আগেরদিনও মাঠে নেমেছিলেন আতসু। সুপার লিগের ম্যাচে হাতায়স্পোরের হয়ে জয়সূচক গোলও করেছিলেন। ম্যাচের পরই দক্ষিণ তুরস্ক ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিলো আতসুর। হাতায়াস্পোরের ম্যানেজার বলেন, ‘কিন্তু আতসু সিদ্ধান্ত নেন, ওইদিন তিনি চলে না গিয়ে দলের সঙ্গেই থেকে যাবেন।’
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব এভার্টন, চেলসি এবং নিউ ক্যাসল ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছিলেন ক্রিশ্চিয়ান আতসু। গত বছর সেপ্টেম্বরেই তিনি হাতায়াস্পোরে যোগ দেন।
ঘানা জাতীয় দলের হয়ে ৬৫টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২০১৫ সালে আফ্রিকান নেশন্স কাপে ঘানাকে ফাইনালে তোলার নায়ক ছিলেন তিনি। ফাইনালে টাইব্রেকারে তারা হেরে গিয়েছিলো আইভরিকোস্টের কাছে।