একমাত্র ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো সংস্করণে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। নিজেদের প্রিয় সংস্করণ ওয়ানডে দিয়ে এবার সেই আক্ষেপ ঘোচাতে মরিয়া লাল সবুজের দল। ১ মার্চ থেকে অনুষ্ঠেয় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ইংলিশদের বিপক্ষে জয়ের জন্যই বাংলাদেশ নামবে।
অধিনায়ক তামিম ইকবালের লক্ষ্য এমনই। রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তামিম জানিয়েছেন, সিরিজ জয়ই এক নম্বর উদ্দেশ্য।
‘সিরিজ জয় এক নম্বর উদ্দেশ্য… এছাড়া আর কিছু নেই। অবশ্যই আমরা যখন প্রথম ওয়ানডে খেলব ১ তারিখে, জেতার জন্যই খেলব’ -ইংল্যান্ড সিরিজের লক্ষ্য নিয়ে করা প্রশ্নে এভাবে বলেছেন তামিম।
২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৩ বছরে ইংলিশদের বিপক্ষে বাংলাদেশ ১৭টি ওয়ানডে খেলে। জয় মাত্র ৪টিতে। সবশেষ জয় ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে, মিরপুর শের-ই-বাংলায়। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের অধীনে পাওয়া সেই জয়ের পর তিনবারের দেখায় প্রত্যেকবার হেরেছে।
ক’দিন আগেই ভারতকে সিরিজ হারানো বাংলাদেশ দেখছে ইংলিশ বধের স্বপ্ন। ঘরের মাঠে সুবিধা নিয়ে প্রথমবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিততে চায় স্বাগতিকরা। নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহের পর এবার তামিমও সেই ইঙ্গিত দিলেন।
‘উইকেট নিয়ে আমরা এখনো আলোচনা করিনি, সত্যি কথা। নিশ্চিতভাবে আমাদের মাথায় চিন্তা আছে। আমি নিশ্চিত আজ কালের ক্রিকেটের মধ্যে কী আশা করবে ইংল্যান্ড, আমি নিশ্চিত কমবেশি ওদের ধারনা আছে। এটা কোনো রকেট সায়েন্স না ওরা একটা জিনিস চিন্তা করছে আর আমরা ঠিক অন্যটা দিয়ে দিছি।’
‘যে উইকেটে খেলি না কেন, আমাদের ভালো খেলতে হবে। ওদের চেয়ে ভালো করতে হবে জেতার জন্য। আমাদের যেমন উইকেট দরকার সেরকম কিছুই হবে’। -আরও যোগ করেন তামিম।
সবশেষ ভারত সিরিজে বাংলাদেশ জিতলেও বড় সমস্যা ছিল টপ অর্ডার। জয়ী দুই ম্যাচেই দলের হাল ধরেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইংল্যান্ড সিরিজ শুরুর আগেও ভাবনা এই টপ অর্ডার নিয়ে। তবে তামিম বলছেন মানিয়ে নেয়ার কথা যাতে লেজের ব্যাটসম্যানদের চাপ না বাড়ে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘ভারত সিরিজে দুই দলেরই টপ-অর্ডারে ইস্যু ছিল… এতে বুঝা যায় এ ধরনের উইকেটে টপ অর্ডারের ব্যাট করা কঠিন ছিল। এটা যদি একটা দলের হতো, তাহলে আমি মেনে নিতাম আমি কোথাও ভুল করছি। চট্টগ্রাম বাদ দিয়ে আপনি যদি দেখেন দুই দলেই দ্রুত উইকেট হারিয়েছে। বল পুরান হলে রান করা সহজ হয় মিডল অর্ডারের জন্য। মিরপুরে নতুন বলে টপ-অর্ডারের জন্য একটু কঠিন। এটা অনেক ম্যাচেই হচ্ছে। মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে নিচের দিকে চাপ না বাড়াতে।’
পহেলা মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ হবে একদিন বাদে ৩ মার্চ। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি হবে ৬ মার্চ, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে দুপুর ১২টায়।