তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে হতাহতদের স্মরণে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক মিনিটের নিরবতা পালন করা হয়েছে। সাত দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পে দেশ দুইটিতে এখন পর্যন্ত দুই হাজার তিনশ মানুষের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে এক হাজার ৫৪১ জন মারা গেছে তুরস্কে। অন্যদিকে সিরিয়ায় ৮১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। খবর আল-জাজিরার।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমাদের দলগুলো প্রয়োজনীয় বিষয়ের মূল্যায়ন ও সহায়তা প্রদান করছে। এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার পরিবারকে সাহায্য করার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করছি। তাছাড়া বেশ কিছু জায়গায় জরুরি মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। বিশেষ করে যেসব এলাকায় প্রবেশ করা কঠিন।
জানা গেছে, সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর রাতের দিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে সাত দশমিক আট মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।
৪০ সেকেন্ড ধরে চলা এই ভূমিকম্পের কম্পন পৌঁছায় লেবানন ও সাইপ্রাসেও। জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের পর এটাই তুরস্কে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প।
এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ২ হাজার ৮১৮টি ভবন ধসে পড়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, ধসে পড়া ভবনগুলোতে অসংখ্য মানুষ আটকা পড়েছে। কর্মীরা ধ্বসংস্তূপের মধ্য থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধারে তৎপড়তা জোড়ালো করেছে।
১৯৯৯ সালের আগস্টে সাত দশমিক ছয় মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প তুরস্কের দক্ষিণে ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল মারমারায় আঘাত হানে। ওই ভূমিকম্পে সাড়ে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়।