‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অব নেফ্রোলজি’ (আইএসএন) কর্তৃক আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলো বাংলাদেশের কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। সংস্থাটি ১৮ জানুয়ারি কিডনি ফাউন্ডেশনকে ‘সেরিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ এর বিজয়ী ঘোষণা করে।
আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি জানায়, বাংলাদেশে কিডনি রোগীদের উন্নত চিকিৎসা, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কিডনি ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ পরিচালনা করছে। বর্তমানে সারা পৃথিবীর কিডনি চিকিৎসার ১০টি রেফারেল সেন্টারের মধ্যে এটি একটি যা আন্তর্জাতিক মানের একটি সেন্টারে পরিণত হয়েছে।
কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশীদ বলেন, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত কিডনি ফাউন্ডেশন একই সঙ্গে হাসপাতাল, ল্যাব, ডায়ালাইসিস, কিডনি ট্রান্সপ্লানটেশন, গবেষণা, প্রশিক্ষণ প্রভৃতি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এখানে স্বল্প খরচে কিডনি চিকিৎসা, ডায়ালাইসিস, কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়ে থাকে। ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে এর পাঁচটি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ মানের সেবা দেওয়া হয়। এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়ে আমরা গর্বিত। এটি আগামীতে আরও নতুন উদ্যমে কাজ করার প্রেরণা যোগাবে।
ফাউন্ডেশন সংশ্লিষ্ট মাধ্যমে জানা যায় জুরি বোর্ডের মাধ্যমে এবছর কিডনি ফাউন্ডেশন এ স্বীকৃতি পেয়েছে। আগামী ২৪ এপ্রিল আর্জেন্টিনার বুয়েন্স এইরিসে অনুষ্ঠিত রিনাল সিস্টার্স প্রোগ্রামে সম্মেলনে কিডনী ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের হাতে ‘সেরিয়ার অ্যাওয়ার্ড’ তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কিডনি রোগীদের উন্নত চিকিৎসা প্রদান, কিডনি সংযোজন ও ডায়ালাইসিস সেবা সম্প্রসারণ, কিডনি রোগ প্রতিরোধে গবেষণা ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানা বিষয়ে ভূমিকা রাখছে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট। এর স্বীকৃতি হিসেবে এর আগে প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে ‘আইএসএন পাইওনিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০১৭’। এরপর ভারতের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ার্ল্ড হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস এবং সিএইচআরও এশিয়া’ যৌথভাবে প্রদান করে ‘হেলথকেয়ার লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড’।
বিশ্বের ১৫৬টি দেশের কিডনি চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত অলাভজনক সংস্থা আইএসএন ১৯৬০ সাল থেকে সারা বিশ্বে কিডনি রোগে চিকিৎসার উন্নয়ন, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।