নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার পৃথক ৯ মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এসব মামলায় বুধবার (১০ জানুয়ারি) জামিন আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে এজাহারে নাম থাকা ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে একই আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে এসব মামলায় নিজেকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য (শোন অ্যারেস্ট) আবেদন করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখান।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা রয়েছে। এদের মধ্যে সম্প্রতি দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আরো ৯টি মামলায় আজ তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো।
এদিন সকাল পৌনে ১২টার দিকে কারা কর্তৃপক্ষ ঢাকার কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে মির্জা ফখরুলকে আদালতে হাজির করেন। এরপর সংশ্লিষ্ট আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। বেলা ১টা ১৪ মিনিটের দিকে আদালতের এজলাসে ওঠানো হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালত গ্রেপ্তার দেখানোসহ জামিন শুনানির জন্য এই তারিখ ধার্য করেছিলেন।
জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এরপর তাকে হত্যা ও গাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ২৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারাগারে রয়েছেন।