বিএনপির সরকার বিরোধী আন্দোলনকে ‘ব্যর্থ আন্দোলন’ অভিহিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণঅভ্যুত্থান তো দূরে থাক দলটি গণজোয়ার তুলতেও ব্যর্থ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বকশীবাজারস্থ নবকুমার ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে শহীদ মতিউর রহমানের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএম চায় আওয়ামী লীগ, তবে তা সম্ভব কি না-এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বাধীনতার পথে চূড়ান্ত মাইলফলক। বিএনপি স্বাধীনতা আন্দোলন সংগ্রামের কোনো দিবস পালন করে না, মানেও না। এজন্য তারা ৭ মার্চ, ৭ জুন, ১৪ এপ্রিল, ১০ জানুয়ারি, ২৪ জানুয়ারি মানে না, পালন করে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একাত্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার একমাত্র বৈধ অধিকার ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের, অন্যরা পাঠকমাত্র।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, ডাক্তার মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদে মন্নাফী, সংসদ সদস্য হাজী সেলিমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় শহীদ মতিউর রহমান মল্লিকের স্মৃতি চারণ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এদেশে ভাষা আন্দোলন কিংবা গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে। যখন একটি আন্দোলন সর্বস্তরের জনগণকে স্পর্শ করে তখন সে আন্দোলন সফল হয়। মতিউর একটি অবিনশ্বর চেতনার নাম।
সভায় শাহজাহান খান বলেন, বিএনপি একটা সন্ত্রাসী দল এদের দিয়ে রাজনীতি সম্ভব নয়।
কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানে না। তাদেরকে রাজনীতি থেকে চিরদিনের মতো বিতাড়িত করা উচিত।