আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সারাদেশে যেমন কৃষক সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক লীগ শক্তিশালী করার দরকার আছে তেমনিভাবে আগামী দিনে বিএনপি-জামায়াতের মতো অপশক্তিকে রুখতে ঢাকা মহানগরেও শক্তিশালী কৃষক লীগের বিকল্প নেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে কৃষক লীগ আয়োজিত কৃষক হত্যা দিবস উপলক্ষ্যে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে কৃষক সমাবেশ ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
স্মরণ সভাটি পরিচালনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।
সভায় সুজিত রায় নন্দী বলেন, খালেদা-নিজামী সরকারের আমলে ন্যায্যমূল্যে সার চাইতে গিয়ে ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে ১৮ জন নিরীহ কৃষককে জীবন দিতে হয়েছিল। তারই প্রতিবাদে রাজপথে নেমে এসেছিলেন কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াত স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, সোমালিয়ার মতো হবে কিন্তু কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা স্বপ্ন দেখি বিশ্ব জয়ের।
ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশে প্রয়োজনীয় সারের চাহিদার শতকরা ৬০ ভাগ আমরা আমদানি করে থাকি রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যেখানে আন্তর্জাতিক খাদ্য সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়েছে তাতেও বাংলাদেশে ততটা বিপর্যয় হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কৃষকরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনা এক ইঞ্চি জমি অনাবাদি রাখা যাবে না, এর আলোকে তিনি গণভবনেও কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন এবং দেশের সমস্ত অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। বিএনপি জামায়াত নির্বাচন, ভোট, গণতন্ত্র এসব পছন্দ করে না। অতীতে ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে এবং বর্তমানেও হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত তারা।