কর্মদিবসে বিএনপির পদযাত্রার কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ হবে- এমন আশঙ্কা থেকে এই কর্মসূচি পালনে বিরত থাকার আহ্বান জানালেও তাতে কোনো বাধা দেবে না পুলিশ।
এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার বিএনপির ‘বিবেকের উপর’ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে হটানোসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি রাজধানীতে দুই দিনের পদযাত্রা কর্মসূচি দিয়েছে।
প্রথম দিন বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ঢাকার গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব মাঠ থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে আরামবাগ, ফকিরেরপুল, দৈনিকবাংলা মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে শেষ হবে।
তার আগের দিন বুধবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিএনপির এই কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার ফারুক।
বিএনপিকে এই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে কি না- জানতে চাইলে তিনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলেন, “আমরা তাদের কোনো বাধা দিচ্ছি না।
“আমরা কোনো মাঠে বিক্ষোভ কর্মসূচি অথবা বন্ধের দিন এ ধরনের কর্মসূচি পালনের অনুরোধ করেছি। তারা এ ব্যাপারে কোনো জবাব দেয়নি।”
“আমরা তাদের বাধা দিচ্ছি না। কিন্তু যদি তারা ভাঙচুর বা অগ্নিসন্ত্রাসের দিকে যায়, আমরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব,” বলেন তিনি।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে বিএনপির এই কর্মসূচির কারণে অফিস ছুটির পর অনেকেই দুর্ভোগের শিকার হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, “একটি অফিসিয়াল ডেতে তিন-চার কিলোমিটার যদি পদযাত্রা হয়; দুই বা তিন ঘণ্টা যদি পদযাত্রার নামে র্যালি চলে, তাহলে যে যানজটের সৃষ্টি হবে, সেটা দূর করতে রাত ১০টা-১১টা-১২টা লেগে যাবে।
যারা ছুটিতে যাবেন তাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ হবে। বাস-ট্রেন মিস হবে। সেজন্যেই দায়িত্বশীল আচরণের অনুরোধ করছি।”
তিনি বলেন “তাদের (বিএনপির) দায়িত্ববোধ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছি। তাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দিয়েছি। পদযাত্রা করলে যানজট হবে, দুর্ভোগ হবেই। আমরা এ ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছি।”
রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের ‘বৈধ’ কর্মসূচির প্রতি শ্রদ্ধা থাকার কথা জানিয়ে ফারুক জনদুর্ভোগ এড়িয়ে কর্মসূচি দেওয়ার অনুরোধ করেন।
“ঢাকায় বড় বড় মাঠ আছে। জনগণের দুর্ভোগ এড়াতে এসব মাঠে সহজেই যে কোনো কর্মসূচি পালন করা যায়।”