রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ‘বিআরটিএর ডিজিটাল সেবা প্রদান সংক্রান্ত মতবিনিময় এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ অবহিতকরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিআরটিএ। সরকারের এই সংস্থাটি আরও জানায়, পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে সড়কে বিআরটিএ’র নিবন্ধিত সচল গাড়ির সংখ্যা ছিল ৫৫ লাখ ৯২ হাজার ৫৯টি। গাড়িগুলোর মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ৫ হাজার ২০০টি। এসব দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৬৩৮ জন নিহত হন। প্রতি ১০ হাজার গাড়ি হিসেবে দুর্ঘটনার পরিমাণ ৯.৩০ শতাংশ এবং মৃত্যুর পরিমাণ ৮.২৯ শতাংশ।
অন্যদিকে, ২০২১ সালে সড়কে বিআরটিএর নিবন্ধিত সচল গাড়ির সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ ১৩ হাজার ৯০৮টি। গাড়িগুলোর মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ৫ হাজার ৪৭২টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয় ৫ হাজার ৮৪ জন। প্রতি ১০ হাজার গাড়ি হিসেবে দুর্ঘটনার পরিমাণ ১০.৯১ শতাংশ এবং মৃত্যুর পরিমাণ ১০.১৪ শতাংশ।
এছাড়া ২০২০ সালে ৪৫ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৮ নিবন্ধিত সচল গাড়ির মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ৪ হাজার ১৯৮টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩ হাজার ৯১৮ জন। ২০১৯ সালে ৪১ লাখ ৯১ হাজার ২১৮টি নিবন্ধিত সচল গাড়ির মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ৪ হাজার ১৪৭টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হন ৪ হাজার ১৩৮ জন। ২০১৮ সালে ৩৬ লাখ ৯৩ হাজার ৭৮৬ নিবন্ধিত সচল গাড়ির মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২ হাজার ৬০৯টি। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হন ২ হাজার ৬৩৫ জন।
কর্মশালায় প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইউসুফ আলী মোল্লা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভিন প্রমুখ।