ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালীতে রমরমা অবস্থা বিরাজ করছে। বসন্তবরণ ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ঘিরে রেকর্ড পরিমাণ ফুল বিক্রি হয়েছে। গত ১০ দিনে এই বেচাবিক্রি ২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
এর মধ্যে রেকর্ড পরিমাণ গোলাপ বিক্রি হয়েছে। বিশেষ দিবসে গোলাপের চাহিদা তুঙ্গে থাকায় দামও উত্তাপ ছড়িয়েছে। চড়া দামে ফুল বিক্রি করতে পেরে খুশি চাষিরা।
রবি ও সোমবার যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজারে যেন তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। কাকডাকা ভোরে ক্ষেতের ফুল নিয়ে হাজির হন কয়েকশ চাষি।
বাইসাইকেলে-মোটরসাইকেলে কিংবা ভ্যানে তারা ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেন। বগুড়া, রাজশাহী, গোপালগঞ্জ, পাবনা, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকার ও ফড়িয়াদের দর কষাকষিতে জমে ওঠে বাজার। দর কষাকষির পরও বিক্রিত ফুলের দামে খুশি চাষিরা। তবে হতাশার সুর ছিল পাইকারদের কণ্ঠে। চড়া দামে কিনে খুচরা বাজারে বিক্রি কঠিন হয়ে যাবে বলে সংশয় তাদের।
এ দুইদিন মোকামে প্রতিটি গোলাপ ১৫-২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পাঁচদিন আগেও গোলাপের পাইকারি দাম ছিল প্রায় অর্ধেক। জারবেরা প্রতিপিস ১০-১৫ টাকা, রজনীগন্ধা ১২ টাকা, গ্লাডিওলাস ১৪-১৮ টাকা, জিপসি প্রতিমুঠো ৫০ ও কামিনী পাতা প্রতি মুঠো ২০ টাকা দরে পাইকারি বেচাবিক্রি হয়েছে। এছাড়া গাঁদা ফুল প্রতি হাজার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে গোলাপ ফুল।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন ঘিরে গত পাঁচ, ছয়দিন ধরে দিনে ঝিকরগাছার গদখালী ফুল বাজার ও পানিসারা এলাকা জমজমাট আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই প্রচুর ফুল সারাদেশে পাঠানো হচ্ছে। রোববার ও সোমবার দুইদিনে ২০ লাখ পিসের বেশি শুধু গোলাপই বিক্রি হয়েছে। আর এই গত ১০ দিনের হিসাবে তা ২৫ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।