বঙ্গোপসাগরের এফভি ভাই ভাই নামে একটি মাছ ধরার ট্রলারে হামলা চালিয়েছে জলদস্যুরা। এ সময় ট্রলারের মাঝিসহ ৯ জেলেকে কুপিয়ে ও গুলি করে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়। বাকি ৯ জেলেকে জিম্মি করে ট্রলারে থাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- ট্রলারের মাঝি শফিক (৩৫), কাইয়ুম জোমাদ্দার (৩৫), ইয়াসিন জোমাদ্দার (৩২), আবুল কালাম (৫৮), খায়রুল ইসলাম (৪০), আব্দুল হাই (৪০), আব্দুল আলীম (৫৫) ও ফরিদ মিয়া (৩৮)। তবে নিখোঁজ একজনের নাম জানা যায়নি। তাদের সবার বাড়ি বরগুনার বিভিন্ন এলাকায়।
ট্রলারের সহকারী মাঝি নুর মোহাম্মদের বরাত দিয়ে মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, শুক্রবার রাতে মহিপুর থেকে বাজার সদাই নিয়ে বঙ্গোপসাগরে রওয়ানা দেয় এফভি ভাই ভাই ট্রলারটি। দিনগত রাত ২টার দিকে পায়রা বন্দর এলাকা থেকে ট্রলারটি গভীর সাগরে গেলে পেছন থেকে আরেকটি ট্রলার জোরে ধাক্কা দেয়। এফবি ভাই ভাই ট্রলারে জলদস্যু দলের ৮-১০ জন উঠে যায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলি ও এলোপাতাড়ি কোপ শুরু করে তারা। এ সময় খোকন নামে এক জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যান।
গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, ট্রলারের মাঝি শফিক, কাইয়ুম জোয়াদ্দার, ইয়াসিন জোয়াদ্দার, আবুল কালাম, খায়রুল, আব্দুল হাই, আব্দুল আলীম ও ফরিদ মিয়াকে কুপিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেওয়া হয়। বাকি ৯ জেলেকে জিম্মি করে জাল, দড়ি ও বাজার সদাইসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ডাকাতির সময় ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে রেখে যায়। এরপর ট্রলারটি ভাসতে ভাসতে নেটওয়ার্কের মধ্যে এলে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নুর মোহাম্মদ সমিতিকে বিষয়টি জানায়। ঘটনা পাথরঘাটার সব প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। বিকল ট্রলার ও জীবিত জেলেদের উদ্ধারে আরেকটি ট্রলার পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, বঙ্গোপসাগরে ডাকাতির খবরে ট্রলার মালিক সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।