গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা) আসনের উপনির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ
রবিবার দুপুর ১২টায় বগুড়া প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিশাদ বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। তাছাড়া স্থানীয় জনগণও ভোট কেন্দ্রে যাবে না। এ সব কারণে আমি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিলাম।
তার অভিযোগ, গত ১২ অক্টোবর এই আসনের উপনির্বাচনে অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হওয়া সত্ত্বেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। কমিশন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কারণে ভবিষ্যতে তাদের পেনশন পেতে সমস্যা হবে। এলাকার সন্তান হিসেবে এটা আমাকে পীড়া দেয়।
নিশাদ বলেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করায় সাধারণ ভোটাররাও ক্ষুব্ধ। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি সাধারণ মানুষ এবার ভোট দিতে আসবে না। খুব বেশি হলে ৫ থেকে ১০ শতাংশ মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে।
গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি গত ২৩ জুলাই মারা যান। পরে ১২ অক্টোবর আসনটিতে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা মনোনীত এবং দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট পাঁচজন প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের দিন অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ভোট বন্ধ করে দেয় কমিশন। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত শুরু করে নির্বাচন কমিশন। তদন্তে ১২৬ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা ১৩৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১ ডিসেম্বর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদুজ্জামান নিশাদের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন- গাইবান্ধার সাঘাটা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম, জুমারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রুস্তম আলী আকন্দ ও সাবেক সেনা সদস্য রফিকুল ইসলাম মুকুল।
সংবাদটি শেয়ার করুন