গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৮ নং বোয়ালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের আলাই নদীর উপরে অবস্থিত লোহাচড়া ব্রীজের দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পের নামে শহর রক্ষা বাঁধের সন্নিকটেই অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলনের মহোৎসব শুরু হয়েছে।
অব্যাহতভাবে নদী থেকে এ বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে শহর রক্ষা বাঁধ,তিন ফসলি জমি,বাড়িঘর সহ গাছপালা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার লোহাচড়া ব্রীজ এলাকায় আলাই নদীর বাঁধ সংলগ্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ভূমিহীনদের বিতরণের জন্য ঘর নির্মাণে সরকারি খাস জমিতে পুকুর ভরাটের নামে এসব বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
বালু উত্তলনের বিষয়ে বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হামিদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউএনও স্যার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘড় নির্মানের জন্য মেম্বার চেয়ারম্যান কে বালু উত্তলন করতে বলেছেন।লিখিত কোনো অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদের কাছে লিখিত কোনো অনুমোদন নাই।
এ বিষয়ে জানার জন্য ৮ নং বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম সাবুর নাম্বারে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এদিকে বালু উত্তলন কারবারিরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় নাম না বলার স্বার্থে কয়েকজন এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন,সরকার ও দেশের সর্বোচ্চ আদালত ড্রেজার,মেশিন ও বালু উত্তোলন অবৈধ ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আইন ও রায় ঘোষণা করলেও তা ভঙ্গ করে এলাকার প্রভাবশালীরা সামান্য টাকা লাভের আশায় সরকারি প্রকল্পে তা ব্যাবহার করছে।
এসব বালু উত্তোলনের সঙ্গে এলাকার সরকার দলীয় নেতাদের যোগসাজশে সরকার ও হাইকোর্ট কর্তৃক নিষিদ্ধ এ অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে।
আশ্রয়ন প্রকল্পের নামে শহর রক্ষা বাঁধের নিকট থেকে অবৈধভাবে এই বালু উত্তোলনের ফলে হুমকিতে পড়েছে তিন ফসলি কৃষিজমি,বাড়িঘর,সড়ক,গাছপালা সহ শহর রক্ষা বাঁধ।
সচেতন মহল বলছেন,বাঁধের নিকট থেকে এভাবে বালু উত্তলন করা হলে আশেপাশের বাড়ি ঘড়,বাঁধ দেবে যাওয়াসহ কৃষি ও জীব বৈচিত্রের প্রতি বিরূপ প্রভাব পরবে।অতি শীগ্রই এ বালু উত্তলন বন্ধ করা উচিৎ।