ফেব্রুয়ারি মাসে পণ্য রপ্তানি করে ৪৬৩ কোটি ডলার আয় করেছেন দেশের রপ্তানিকারকরা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ আয় ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ বেশি। তবে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হলেও ফেব্রুয়ারিতে অর্জিত হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ বিবরণী থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারিতে ৪৮০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেই হিসাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রপ্তানি আয় কম হয়েছে ৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ৪২৯ কোটি ডলার।
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জ্বালানির দাম বাড়ার প্রভাব পড়ে দেশের তৈরি পোশাক খাতে। রপ্তানিকারকরা জানান, এতে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ (অর্ডার) কমে যায়। এরপরও রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা দেখা যায়।
জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে তৈরি পোশাক খাতে তিন হাজার ১৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। একই সময়ে প্লাস্টিক পণ্যে ৩৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, চামড়াজাত পণ্যে ৬ শতাংশ, পরচুলায় ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ, ক্যাপে ৩৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
গত অর্থবছরেরর একই সময়ের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে কৃষিখাত, হিমায়ত মাছ, কেমিক্যাল ও পাটজাত পণ্যে কম আয় হয়েছে। কৃষিখাতে আয় হয়েছে ২৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ, কেমিক্যালে ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও পাটজাত পণ্যে ২৩ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে মোট তিন হাজার ৭০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলানায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি। আগের আট মাসে রপ্তানি থেকে এসেছিল তিন হাজার ৩৮৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার।