একটি বালক। সবুজের মাঝে তার বেড়ে উঠা, দেশসেরা ক্রিকেটার হওয়ার তাড়নায় সারাদিন ব্যাট বল নিয়ে পড়ে থাকত সে। ধ্যান-জ্ঞান সব কিছুই ছিল ক্রিকেট নিয়ে। কিন্তু বাবা মায়ের ইচ্ছে ভিন্ন। ছেলেকে ডাক্তার বানাবেন তারা, কিন্তু কীভাবে? ছেলের যে পড়াতেই মন বসে না, কীভাবে ডাক্তার হবে ছেলে? ক্রিকেটের পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ের প্রতি ছেলেটির ছিল ব্যাপক আগ্রহ। কম্পিউটারের প্রতিও আলাদা একটা তাড়না কাজ করতো তার।
ক্রিকেটের মায়াজাল, জীবনের নানা যাতনায় ভুলে যেতে হয়েছে। কম্পিউটারে আগ্রহ থাকায় পরবর্তীতে সেটাকেই ক্যারিয়ার হিসেবে গড়ে নিলেন সেদিনের সেই ছেলেটি।
নাম তার রবিন। তারুণ্যের উদ্যেম আর প্রজ্ঞায় আজ তার চলার পথের পাথেয় হয়েছে। তারই সাক্ষ্য তার নিজের চেষ্টা ও মেধায় গড়ে উঠা প্রতিষ্ঠান রবিন্স আইটি কেয়ার।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিজ্ঞতা এবং নিজের প্রজ্ঞাকে কে প্রধান পুজি করে করোনার সময় “রবিন্স আইটি কেয়ার” নামে খুলনা শহরে ল্যাপটপ, কম্পিউটার সহ সকল আইটি প্রোডাক্টের সার্ভিস সেন্টার করেন তিনি। সেই শুরু, গল্পের, রবিন্স আইটি কেয়ার এর। অনেক বাধা, জীবনের অনেক হিসেব নিকেশ পাড়ি দিয়ে ২০২২ সালে ঢাকা ব্রাঞ্চের উদ্ভোধন করেন তিনি। এখন দুটো ব্রাঞ্চ মিলে কয়েক ডজন টিমমেট কাজ করছে রবিন্স আইটি কেয়ারে।
রবিন্স আইটি কেয়ার এর ফাউন্ডার রবিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘রবিন্স আইটি কেয়ারে রয়েছে আলাদা আলাদা ডিভাইসের জন্য আলাদা আলাদা স্পেশাল ইঞ্জিনিয়ার’।
তিনি যোগ করেন, ‘আমার ইচ্ছা ২০২৫ সালের মাঝে প্রতিটি বিভাগ পর্যায়ে ব্রাঞ্চ চালু করা এবং সকলের কাছে ট্রাস্টের সাথে কম খরচে ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ডেস্কটপসহ সকল আইটি প্রোডাক্টের সার্ভিস পৌছে দেওয়া। আমাদের রয়েছে স্পেশাল হোম সাপোর্ট টিম যারা ক্লাইন্ট যোগাযোগ করার সাথে সাথে পৌছে যায় তাদের লোকেশনে। আমার স্বপ্ন যারা অভিজ্ঞতার জন্য চাকরি পায় না সেই সকল তরুণদের ফ্রি ট্রেনিং দিয়ে রবিন্স আইটি কেয়ার সারা বাংলাদেশের সকল জেলায় ব্রাঞ্চে করে তাদের কর্ম-সংস্থানের ব্যবস্থা করার। আমি স্বপ্ন দেখি তরুনদের নিয়ে, স্বপ্ন দেখি আইটি হার্ডওয়ারে বাংলাদেশকে উচ্চমাত্রায় নিয়ে যেতে রবিন্স আইটি কেয়ারও ভূমিকা রাখবে’।