গেল বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন রাসেল ডমিঙ্গো। এরপর থেকেই ফাঁকা পড়ে রয়েছে প্রধান কোচের চেয়ার। তবে টাইগারদের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন এমন কয়েকজনের নাম ইতোমধ্যেই শোনা গিয়েছে। গুঞ্জন আছে, কোচ হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে নাকি টাইগারদের সাবেক ওস্তাদ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
টাইগারদের প্রধান কোচের দায়িত্বে কে আসছেন সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা রক্ষা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে ঠিক কি কারণে এমন লুকোচুরি সেটা অজানা সকলের। কয়েকদিন আগেই বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা পর্ষদের প্রধান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, কোচ নিয়োগ ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই হয়ে যাবে।
মার্চের প্রথম সপ্তাহেই মাঠে গড়াবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের তিন ওয়ানডে এবং তিন টি-টোয়েন্টি। কোচ নিয়োগের বিষয় নিয়ে জালাল ইউনুস বলছিলেন, ‘মোটামুটি এগিয়ে গিয়েছে কে হচ্ছেন প্রধান কোচ। তবে বাকি রয়েছে কেবল চুক্তি স্বাক্ষর।’
কোচ হয়ে যদি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বাংলাদেশে আসেন তাহলে কেমন করবেন, এমন প্রশ্ন জানতে চাওয়া হলে বিসিবি পরিচালক ও নারী ক্রিকেট বিভাগের প্রধান শফিউল আলম নাদেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘এখনও তো নিশ্চিত নয়, তবে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা তো খারাপ না। যেহেতু আগেও সে ছিল, এখন আসলে আশা করি ভালো হবে।’
গুঞ্জন রয়েছে, দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে খুব একটা সুসম্পর্ক ছিল না হাথুরুসিংহের। আবার কোচ হয়ে ফিরলে এতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই বোর্ড পরিচালক বলেন, না সেরকম কিছু না, উনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ। আর কোচ মানেই তো শিক্ষক তাই না। তিনি তো খেলোয়াড়দের থেকে সর্বোচ্চটাই বের করে নিতে চাইবেন। এক্ষেত্রে তিনি বা অন্য যেই হোক, কোচ বা খেলোয়াড়দের মধ্যে দূরত্ব হওয়ার কিছু নাই।
এদিকে বিসিবির আরেক পরিচালক এবং টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববির কাছে জানতে চাওয়া হয় নতুন করে টাইগারদের কোচ হয়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ফিরলে পরিস্থিতি কেমন হবে। প্রশ্নের জবাবে ঢাকা পোস্টকে এই বোর্ড পরিচালক বলেন, আমরা তো সবসময় বাংলাদেশ দলের উন্নতি চাই। সবসময় চাওয়া থাকে এগিয়ে যাক। কিন্তু কোচ হিসেবে তার (হাথু্রেসিংহের) আন্ডারে কি করবে না করবে এটা সময়ই বলে দিবে। এটা নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। সেটা সময়ই বলে দিবে।
জানা গেছে, বিপিএলের ঢাকাপর্বে ফেরার পরই রাজধানীতে পা রাখবেন হাথুরুসিংহে। গুঞ্জন আছে, তখনই দুপক্ষের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হবে।