ম্যাচ শেষে অফসাইডের ক্লিপ দেখে অ্যান্তোনিও রুদিগার হয়ত আক্ষেপ করবেন, কাঁধ আরেকটু সোজা কেন রাখা হলো না! মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বি। অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে শেষ ৬ ম্যাচে নেই রিয়াল মাদ্রিদের জয়। কিন্তু এদিন তো ৯৬ মিনিট পর্যন্ত এগিয়েই ছিল লস ব্লাঙ্কোসরা। কিন্তু একেবারেই শেষ সেকেন্ডে এসেই রিয়ালের জালে বল ঠেললেন অ্যাতলেটিকোর আনহেল কোরেয়া। তাতেই মৌসুমের প্রথম মাদ্রিদ ডার্বি শেষ হয় ১-১ গোলের ড্রতে।
পুরো ম্যাচজুড়েই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ থাকলেও গোলের দেখা মেলেনি প্রথমার্ধে। বিরতির পর গোলের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার এদের মিলিতাওয়ের গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। বিরতির আগেই অন্তত ১ গোল পেতেই পারতো রিয়াল মাদ্রিদ। ফেডে ভালভার্দে এবং জ্যুড বেলিংহাম দুজনকেই গোলবঞ্চিত করেছিলেন আতলেটিকো গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক।
দ্বিতীয়ার্ধে মিলিতাওয়ের গোলেও কিছুটা ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল মাদ্রিদের পক্ষে। ভিনিসিয়ুসের ক্রস খুঁজে পায়নি মাদ্রিদের ফরোয়ার্ড লাইনের কাউকে। এদের মিলিতাওয়ের জোরালো শট আতলেটিকো ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তন না করলে হয়ত গোলবঞ্চিত থাকতে হতো রিয়ালকে।
এদিকে রিয়ালের গোলের পরেই তাদের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে লক্ষ্য করে আতলেতিকোর সমর্থকদের নানা জিনিস ছুড়ে মারায় ঘটনা দেখা যায়। যে কারণে খেলা বন্ধ ছিল প্রায় ২০ মিনিট। টিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, একটি সাদা ব্যাগে করেও কিছু একটা ছুড়ে মারা হয়েছিল কোর্তোয়ার উদ্দেশ্যে। তিন বছর ধরে আতলেটিকো মাদ্রিদেরই হয়ে খেলেছিলেন করতোয়া। ক্ষোভের প্রকাশটাও তার ওপরেই ছিল ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোর দর্শকদের।
দর্শকদের এমন ঘটনার পর ঘোষণা আসে, ১০ মিনিটের জন্য স্থগিত করা হয়েছে খেলা। আতলেটিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড় এবং কোচরাও এগিয়ে আসেন সমর্থকদের সামাল দিতে। তবে মিনিট বিশেক পর আবার খেলা শুরু হলেও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি রিয়াল।
৭৩তম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ভিনিসিউসের বাঁ পায়ের জোরাল শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন ওবলাক। ৮২তম মিনিটে সুযোগ পায় আতলেতিকো। বক্সে দুজনের বাধা এড়িয়ে সামুয়েল লিনোর নেয়া শটে একহাতে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল পাঠান কোর্তোয়া।
তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে আট মিনিট যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে রিয়ালের জালে বল পাঠায় আতলেতিকো। বাঁ দিক থেকে বক্সে পাস দেন হাভি গালান। ছুটে গিয়ে এগিয়ে আসা কোর্তোয়াকে ডজ দেন কোররেয়া। তার পেছনে লেগে ছিলেন মিলিতাও। রিয়াল ডিফেন্ডারের বাধা সামলে বল জালে পাঠান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
রেফারি শুরুতে হ্যান্ডবলের জন্য গোল দেননি। তবে ভিএআরের সাহায্যে গোলের বাঁশি বাজান তিনি। হ্যান্ডবল হয়নি, অফসাইডেও ছিলেন না কোররেয়া। আর শেষ সময়ে ফ্রান গার্সিয়াকে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন আতলেতিকোর মিডফিল্ডার মার্কোস ইয়োরেন্তে।
স্প্যানিশ লা লিগায় এই ম্যাচের পর ৮ ম্যাচে ৫ জয় ও ৩ ড্রয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রিয়াল। ৪টি করে জয় ও ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আতলেতিকো। আর ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা।