সিলেটের করা পাহাড়সম ২০১ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ভালো হয়নি ঢাকা ডমিনেটর্সের। ৩০ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে যখন দিশেহারা ঢাকা, তখন কিছুটা আশার আলো হয়ে আসে মিথুন-নাসির জুটি। তাদের ৭৭ রানের জুটিতে রানটাও ছিল নাগালের মধ্যেই। কিন্তু এই দুই ব্যাটারের দ্রুত বিদায়ের পর বড় হার এড়াতে পারেনি ঢাকা।
মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের অষ্টম ম্যাচে ঢাকাকে ৬২ রানে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার সিলেট। ব্যাট হাতে ৮৪ রান করে সিলেটের জয়ের নায়ক তৌহিদ হৃদয়।
এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে শেষ হল ঢাকা পর্বের প্রথম অংশের খেলা। ১৩ তারিখ থেকে শুরু হবে চট্টগ্রাম পর্বের খেলা। ঢাকা পর্বের প্রথম অংশটা দুর্দান্তভাবে শেষ হয়েছে সিলেটের। নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে এখন মাশরাফি-মুশফিকদের দল। বাকি দলগুলোর মধ্যে একটির বেশি ম্যাচ জেতেনি কেউই।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তৌহিদ হৃদয় ঝড়ে ২০০ রান পেরোয় সিলেট। ৮৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৫টি চারের পাশাপাশি ৫ টি ছয় মেরেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার।
দলীয় ১৭ রানে মোহাম্মদ হ্যারিসের উইকেট হারায় ঢাকা। এরপর উইকেটে আসেন তৌহিদ হৃদয়। দ্বিতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। ৩৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে শান্ত আউট হন আল আমিনের বলে।
৮ বলে দশ রান করে ফেরেন জাকির হাসান। এরপর উইকেটে আর থিতু হতে পারেননি কেউই। একমাত্র থিসারা পেরেরা পৌঁছেছেন দুই অঙ্কের রানে। কিন্তু এক প্রান্ত আগলে ব্যাটিং করে যাচ্ছিলেন হৃদয়। তুলে নেন এবারের বিপিএলে তার তৃতীয় ফিফটি।
শেষ ওভারে আল আমিনের বলে ক্যাচ হওয়ার আগে ৫ চার ও ৫ ছয়ে ৮৮ রান করেন হৃদয়। আর তাতে ২০১ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট।
২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ৫ ওভারে সিলেটের রান ৩০, নেই ৩ উইকেট। এমন অবস্থা থেকে ১২ ওভারে তাদের সংগ্রহ ১০২। উইকেট তখনও তিনটা। ক্রিজে তখন মোটামুটি সেট নাসির হোসেন ও মোহাম্মদ মিথুন। রানের গতিটা যখন একটু বাড়াবেন এই দুই ব্যাটার, ঠিক তখনই মিথুনকে সাজঘরে ফেরান থিসারা পেরেরা।
এরপর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি ঢাকার। কিছুক্ষণ লড়াই অব্যহত রেখে ৪৪ রানে আউট হন নাসির। ১৩৯ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। সিলেটের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ইমাদ ওয়াসিম, মাশরাফি ও মোহাম্মদ আমির।