
পাকিস্তানি পেসারদের তোপের মুখে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছিল বাংলাদেশি টপ অর্ডার। সেই ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লড়েছেন সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিম। এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের হাফসেঞ্চুরিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। কিন্তু লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় দুইশ রানের আগেই থামে সাকিবের দল। ছোট পুঁজি নিয়েও ভালোই লড়াই করেছেন বোলাররা। বিশেষ করে পেসাররা। শরীফুল ইসলাম এদিন রীতিমতো আগুন ঝরিয়েছেন। তবে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হয়নি। ইমাম উল হক-মোহাম্মদ রিজওয়ানের ফিফটিতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
আজ (বুধবার) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৮ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যেখানে সর্বোচ্চ ৬৪ রান এসেছে মুশফিকের ব্যাট থেকে। তাছাড়া হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন সাকিবও। জবাবে ৩৯ ওভার ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৮ রান এসেছে ইমামের ব্যাট থেকে। বাংলাদেশের হয়ে ২৪ রানে ১ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার শরীফুল। ৭ উইকেটের বড় হারে ফাইনালের সমীকরণ কিছুটা হলেও কঠিন করে ফেলেছে বাংলাদেশ।
১৯৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। নতুন বলে দুর্দান্ত ছিলেন শরীফুল ইসলাম। নিজের প্রথম ওভারেই পেয়েছেন মেইডেন। পরের ওভারেও উইকেটের দেখা পেতে পারতেন। তার বলে স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন ফখর। কিন্তু সেটি নিতে যেভাবে ঝুঁকতে হতো, তার পুরো চেষ্টা করেননি নাঈম। ফলে সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ- ১৯৩/১০ (৩৮.৪ ওভার) (নাঈম ২০, সাকিব ৫৩, মুশফিক ৬৪; হারিস ৪/১৯, নাসিম ৩/৩৪)
পাকিস্তান- ১৯৪/৩ (৩৯.৩ ওভার) (ফখর ২০, ইমাম ৭৮, বাবর ১৭, রিজওয়ান ৬৩*; শরিফুল ১/২৪)