কেপ টাউনের পুরো মাঠ জুড়ে তখন উৎসবের আবহ। দর্শক ভর্তি গ্যালারিতে নাচ-গান আর উন্মাদনা। অনেকে তো কেঁদেই ফেলেছেন খুশিতে। খেলোয়াড়দের মনেও খুশির জোয়ার। বেঞ্চ থেকে দৌড়ে এসেও উদযাপন করেছেন ক্রিকেটাররা। আর করবেন-ই বা না কেন। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে চোকার্স উপাধি বয়ে বেড়ানো দলটা যে এখন বিশ্বকাপের ফাইনালে। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শক্তিশালী ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালের মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকা।
কেপ টাউনে শুক্রবার ইতিহাস গড়ল দক্ষিণ আফ্রিকার নারীরা। পুরুষ এবং নারী দুই ক্ষেত্রেই বিশ্বকাপে বারবার ব্যর্থ দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবার ফাইনালে তুলল নারীরা। সেমিফাইনালের রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়েছে সানে লুসের দল।
শুরুতে ব্যাট করে দুই ওপেনার এবং মারিজান ক্যাপের ব্যাটে ইংল্যান্ডকে ১৬৫ রানের লক্ষ্য দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার নারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৮ রান করে ইংল্যান্ড।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনারের ব্যাটে ভালো শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৯৬ রান। ৪৪ বলে ৫৩ রান করা লরা উলভার্টকে ফেরান সোফি একেলেস্টোন। আরেক ওপেনার তাজমিন ব্রিটস থামেন ৬৮ রানে। তিন নম্বরে নেমে ১৩ বলে ২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মারিজান ক্যাপ। আর তাতে ১৬৪ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয় ইংল্যান্ডেরও। ৫ ওভারেই রান আসে ৫৩। তবে হুট করেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন শবনিম ইসমাইল। এক ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে ইংলিশদের প্রথম ধাক্কাটা দেন ডানহাতি এ পেসার। ড্যানি ওয়াট ফেরেন ৩৪ রানে।
এক প্রান্ত থেকে দারুণ ব্যাটিং করে ইংলিশদের এগিয়েই রাখছিলেন ন্যাট শিভার বার্নট। কিন্তু শেষ ধাক্কাটা দেন খাকা। এক ওভারে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচ পুরোপুরি দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে নিয়ে আসেন। শেষমেষ ১৫৮ রানে থামে ইংলিশরা। ফাইনালে ওঠার উল্লাস নিয়ে মাঠ ছাড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।