বাংলাদেশকে ওয়ানডেতে ৩৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া তামিম ইকবাল অধিনায়কত্বের ইতি টেনেছেন। একইভাবে চোটের কারণে থাকবেন না আসন্ন এশিয়া কাপেও। ফলে বর্তমানে দেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু কে হচ্ছেন টাইগারদের পরবর্তী অধিনায়ক। সেই আলোচনায় সবার আগে আসে বাকি দুই ফরম্যাটে টাইগারদের নেতৃত্ব দেওয়া সাকিব আল হাসানের নাম। ওয়ানডের সহকারী অধিনায়ক লিটন দাসও সেই দৌড়ে আছেন। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম এক্ষেত্রে সাকিবকেই এগিয়ে রেখেছেন।
আজ (শুক্রবার) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফাহিম বলেন, ‘অধিনায়কত্বটা যদি এমন হয় যে একটা দলের যেকোনো একজনকে দেওয়া যাবে, তাহলে যে কাউকে দেওয়া যায়। তবে অধিনায়কত্বটা যদি এমন হয়, যে দলকে সবচাইতে ভালোভাবে পরিচালনা করবে এবং দলের সবচেয়ে ভালো রেজাল্টটা নিয়ে আসতে পারবে তাহলে সেই ভূমিকায় সাকিব আল হাসান ছাড়া অন্য কেউ আসবে না।’
‘আমার কাছে মনে হয় অধিনায়কের জন্য বেস্ট চয়েজ সাকিব আল হাসান। আমার মতে, এখানে অন্য কারো সঙ্গে তুলনা করার সুযোগ নেই। আমরা যদি ভালো রেজাল্ট পেতে চাই তাহলে আমাদের কাছে বিকল্প অন্যকিছু নাই সাকিবকে অধিনায়কত্ব দেওয়া ছাড়া। সাকিব যদি অধিনায়ক না হয় তাহলে হয়তো আমরা অন্যকিছু ভাবতে পারি। কিন্তু এর বাইরে আমাদের চেষ্টা করা উচিত যাতে ও (সাকিব আল হাসান) যেন অধিনায়কের দায়িত্ব নেয়’, যোগ করেন ফাহিম।
সাকিবকে কেন অধিনায়কত্ব দেওয়া উচিত সেটার ব্যাখায় ফাহিম বলেন, ‘আমার ধারণা, ক্রিকেটে অধিনায়কের রোল প্লে করা খুব বড়, এবং সাকিব টি-টোয়েন্টিতে দেখিয়েছে ওর যোগ্যতা কতটুকু এবং আমি বিশ্বাস করি যে, এই দলটার (ওয়ানডে দল) ও যদি দায়িত্ব নেয় শুধু ওর অধিনায়কত্বের কারণে দলটার হয়তো বাড়তি কিছু পারফরম্যান্স ওর কাছ থেকে আমরা আশা করতে পারবো।’
‘আমার মনে হয়, সাকিবের যে অভিজ্ঞতা তাতে সে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকবে। সাকিব বাংলাদেশের পরিবেশেই বেড়ে উঠেছে সত্যি কথা। কিন্তু, ওর পরবর্তী গ্রোথটা কিন্তু সারা বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের অনেক জায়গায় ও ক্রিকেট খেলেছে এবং ওখানেও দেখার সুযোগ পেয়েছে যে, একজন খেলোয়াড় কীভাবে পারফর্ম করতে পারে। ও নিজেও একজন খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছে এবং সেখানে সে তার অভিজ্ঞতা থেকে জ্ঞান নিয়েছে।’
দেশের এই অভিজ্ঞ কোচ আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, সাকিবের বড় গুণ হচ্ছে তার সচেতনতা। ও যেখানে যায় সেখান থেকে সবকিছু লক্ষ্য করে এবং জানে একজন প্লেয়ারের থেকে কীভাবে পারফরম্যান্স আদায় করে নিতে হয়, দলকে কীভাবে দলে রূপান্তরিত করতে হয় এবং কঠিন সময় কীভাবে সাহসী ডিসিশন নিতে হয়। আমরা দেখেছি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ও পেছনে তাকায় না। ও সাহসী সিদ্ধান্ত নেয় যেখানে ওর কাছে সেরাটা মনে হয় ও সেটাই করে। কে কী ভাববে, কী হতে পারে- এসব ভাবনা সে ভাবে না। এসব লেভেলে এই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য সাহস থাকা খুব জরুরি, যে সাহস সাকিবের আছে। এই জন্যই সবকিছু মিলিয়ে আমার মনে হয়, ওর মতো অভিজ্ঞ আর কেউ নাই।’