জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওকিনাওয়া দ্বীপের মিয়াকোজিমার কাছে অন্তত ১০ আরোহীকে নিয়ে একটি সামরিক উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া এই উড়োজাহাজের যাত্রীদের জীবিত উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
জাপানের স্থল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (জিএসডিএফ) প্রধান জেনারেল ইয়াসুনোরি মরিশিতা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ব্ল্যাক হক নামে পরিচিত জাপানের সামরিক বাহিনীর একটি ইউএইচ৬০ উড়োজাহাজ সৈন্যদের পরিবহন করছিল। মিয়াকোজিমায় জিএসডিএফের ঘাঁটি থেকে উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর এর সাথে রাডারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মরিশিতা বলেন, উড়োজাহাজটি মিয়াকোজিমার চারপাশের জলে টহল দিচ্ছিল।
পূর্ব চীন সাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরে ভ্রমণকারী চীনা নৌবাহিনীর জাহাজগুলো প্রায়ই মিয়াকোজিমার কাছাকাছি যায়। ২০১৯ সাল থেকে জিএসডিএফ ওই এলাকায় জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন করেছে।
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির বৈঠক নিয়ে গত চার দিন ধরে চলমান ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মাঝে অন্তত তিনটি চীনা যুদ্ধজাহাজ দ্বীপটি অতিক্রম করেছে।
তবে উড়োজাহাজটি কোনও চীনা সামরিক কার্যকলাপ শনাক্ত করার কাজে জড়িত ছিল কি না সে বিষয়ে কিছু জানাননি মরিশিতা।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে-তে প্রচারিত মন্তব্যে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, ওই উড়োজাহাজে যারা ছিলেন তাদের উদ্ধার করাই এখন সরকারের অগ্রাধিকার।
জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনী ও সামরিক জাহাজ তল্লাশি চালিয়ে সাগর থেকে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে। উদ্ধারকারীরা নিখোঁজ চার উড়োজাহাজ ক্রু এবং ছয় যাত্রীর সন্ধানে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। নিখোঁজদের মধ্যে ইউচি সাকামোতো নামে জিএসডিএফের একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রয়েছেন।