জনসমাগম স্থলে ফিলিস্তিনের পতাকা থাকা অবৈধ না হলেও জনশৃঙ্খলা রক্ষায় হুমকি রয়েছে বলে মনে হলে তা সরানোর অধিকার আছে ইসরায়েলের পুলিশ ও সেনাদের। -রয়টার্স
জনসমাগম স্থান থেকে ফিলিস্তিনের পতাকা সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের নতুন কট্টর-ডানপন্থি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন গ্যভির।
জনসমাগম স্থলে ফিলিস্তিনের পতাকা থাকা ইরসায়েলের আইনানুযায়ী অবৈধ নয়। তবে জনশৃঙ্খলা রক্ষায় হুমকি রয়েছে বলে মনে হলে তা সরিয়ে ফেলার অধিকার রয়েছে ইসরায়েলের পুলিশ ও সেনাদের।
১৯৮৩ সালে এক ইসরায়েলি সেনাকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত দীর্ঘদিনের ফিলিস্তিনি বন্দি গত সপ্তাহে মুক্তি পান। তিনি উত্তর ইসরায়েলে তার গ্রামে বীরোচিত সংবর্ধনা লাভের সময় ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ান।
ওই ঘটনার পরই ফিলিস্তিনি পতাকা সরানোর এই নির্দেশ এল। ইসরায়েলের মন্ত্রী বেন গ্যাভির এক বিবৃতিতে বলেছেন, ফিলিস্তিনের পতাকা উড়ানোটা সন্ত্রাসবাদে সমর্থন দেওয়ারই নামান্তর।
কট্টর-ডানপন্থি দলগুলোকে নিয়ে জোট বেঁধে তৃতীয় মেয়াদে ইসরায়েলের ক্ষমতায় এসেছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তার নতুন সরকারে অতি-জাতীয়তাবাদী একটি দলের প্রধান হচ্ছেন বেন-গ্যভির।
জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী হিসাবে গ্যভিরের তত্ত্বাবধানে রয়েছে পুলিশ বিভাগ। ফিলিস্তিনের পতাকা সরানো তার কঠোর সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে গ্যভির বলেছেন, “আইন ভঙ্গকারীরা সন্ত্রাসের পতাকা উড়িয়ে সন্ত্রাসবাদ উসকে দেবে কিংবা উৎসাহিত করবে তা হতে পারে না। সুতরাং, আমি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থনকারী পতাকাগুলো সরিয়ে ফেলা এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উসকানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি।”
ইসরায়েলের জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ আরব এবং বেশিরভাগই ফিলিস্তিনিদের বংশধর, যারা ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর গঠিত নতুন রাষ্ট্রে রয়ে গেছে।
এই আরবরা দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের রাজনীতিতে তাদের অবস্থান নিয়ে বিতর্ক করছে। ইসরায়েলি নাগরিকত্বের সঙ্গে তারা তাদের ফিলিস্তিনি ঐতিহ্যের ভারসাম্য রক্ষা করছে।
সম্প্রতি জেরুজালেমের বিতর্কিত পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি মন্ত্রী ইতেমার বেন গাভিরের সফর নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ গ্যভিরের এ সফরকে ‘নজিরবিহীন উসকানি’ বলে বর্ণনা করে।