অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ চত্বরের অন্যতম প্রধান প্রবেশদ্বার বাব আস-সিলসিলায় ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। রোববার মুসল্লিদের ওপর এই হামলা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রোববার আল-আকসা মসজিদে চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা আল-আকসা মসজিদ থেকে মুসল্লিদের বের করে দেয় এবং এর চারপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। ইহুদি নববর্ষ রোশ হাশানা উপলক্ষ্যে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের জন্য পথ পরিষ্কার করতে এই পদক্ষেপ নেয় সৈন্যরা। এ সময় ৫০ বছরের কম বয়সী ফিলিস্তিনিদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।
লেবানন-ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-মায়াদিন বলছে, রোশ হাশানাহ উদযাপনের জন্য শত শত অতি-জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলি নাগরিক ইসরায়েলের সৈন্যদের পাহারায় মরক্কো প্রবেশদ্বার দিয়ে আল-আকসা চত্বরে প্রবেশ করেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বসতি স্থাপনকারীদের অনুপ্রবেশের আগে মসজিদ চত্বর থেকে মুসল্লিদের সরিয়ে দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে আল-আকসা কর্তৃপক্ষ। রোশ হাশানাহ উদযাপনের জন্য ইহুদিদের টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত আল-আকসা চত্বরে বাধাহীন প্রবেশ নিশ্চিতের ব্যবস্থা করতে আহ্বান জানিয়েছিল ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা।
ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের হয়রানি ও অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে রোববার ফজরের নামাজের পর কিছু মুসল্লি ইসলামের অন্যতম পবিত্র ওই স্থানে জড়ো হয়েছিলেন।
ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা বলছে, বাব আস-সিলসিলার কাছে একজন পুরুষ ও বয়স্ক নারীসহ তিন মুসল্লিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তারা আল-আকসার প্রবেশদ্বারের কাছে ইসরায়েলি এক বসতি স্থাপনকারীর হর্ন বাজানোর বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
আল-মায়াদিন বলেছে, আল-আকসার ভেতর থেকে দুই মুসল্লিকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী। পরে তাদের অজ্ঞাত স্থানে নেওয়া হয়। মসজিদ চত্বরে বসতি স্থাপনকারীদের চলাফেরার বিভিন্ন ধরনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।