সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগে বিএনপির ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহকারী সুপাররিনটেনডেন্ট মো. রফিকুল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামালায় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলামসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামীপন্থি ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের মুখোমুখি বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের (আওয়ামীপন্থি) কক্ষ ভাঙচুর করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন আইনজীবী বলেন, দুপুর দেড়টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৯ বছরের দণ্ড ও তারেকের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা।
এরপর বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরাও সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষের সামনে আওয়ামীপন্থি ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মিছিল মুখোমুখি হয়। পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ চলাকালে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোল ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক আব্দুন নূর দুলালের কক্ষ ভাঙচুর করেন এবং তার নেমপ্লেট খুলে ফেলেন। এরপর সভাপতির কক্ষের নেমপ্লেটও খুলে ফেলা হয়।
পরে সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল বলেন, বিএনপির ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, কাজল ও সজলের নেতৃত্বে আমাদের আইনজীবীদের ওপর হামলা হয়েছে। সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেছে তারা।
অপরদিকে বিএনপির ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন করে বের হওয়ার সময় আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা আমাদের এক নারী আইনজীবীর ওপর হামলা করেন। তাকে উদ্ধার করতে গেলে তারা আরও মারমুখী আচরণ করেন।
সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, তারা নিজেরা ভাঙচুর করে উল্টো আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।