কেক কাটা ও প্রার্থনা সভার মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জে খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্শীয় উৎসব যীশু খ্রীস্টের জন্মদিন শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে।
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর রাত ১২টা ১ মিনিটে জেলার ১৬৩টি গীর্জায় একযোগে কেক কেটে বড়দিন উদযাপন করা হয়। এসময় একে অপরকে কেক খাইয়ে দেন। এ উৎসবে শিশুসহ খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের নানা বয়সের মানুষ যোগ দেন। পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে গীর্জায় গীর্জায় আয়োজন করা হয় প্রার্থনা সভার। প্রতিটি গীর্জায় ফাদাররা প্রার্থনা সভায় পবিত্র ধর্মগ্রস্থ বাইবেল পাঠ করেন।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনকে সামনে রেখে গোপালগঞ্জের গির্জাগুলোয় উৎসবের আবহ সৃষ্টি হয়েছে; সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রতিটি গীর্জাসহ বাসা বাড়ীতে আলোকসজ্জা ও রং-বে রং এর ষ্টার এবং ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে সাজানো হয়েছে। বাড়ীতে বাড়ীতে আয়োজন করা হয়েছে নানা বর্ণের সুস্বাদু খাবার। অতিথি আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করছেন খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।
খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের সিমিয়ন হাজরা বলেন, বড়দিন উপলক্ষে খ্রীস্টন সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে আনন্দ উসব বইছে। প্রতিটি বাসাবাড়ী সাজানো হয়েছে। বাসাবাড়ীতে আয়োজন করা হয়েছে নানা ধরনের খাবারে।
জেলা শহরের ব্যাস্টিপ চার্চের ফাদার বেনজামিন মন্ডল বলেন, বড়দিন উপলক্ষে দিবসের প্রথম প্রহরে প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। সভায় পবিত্র ধর্মগ্রস্থ বাইবেল পাঠ করা হয়। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা সভা শেষ হয়। সকলে মিলে মিশে জাতি-ধর্ম-বর্ণের উর্ধ্বে উঠে শুভ বড়দিন পালন করা হচ্ছে।
গোপালগঞ্জে খ্রিস্টান ফেলোশিপের সভাপতি স্যামুয়েল এস বালা বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ জেলা গোপালগঞ্জে বরাবরই উৎসবমুখর পরিবেশে বড়দিন উদযাপিত হয়ে আসছে। রংয়ের ছটায়, বর্ণিল পতাকা ও ফুলেল সাজে সেজেছে প্রতিটি গির্জা। বাড়ী বাড়ীতে চলেছে উৎসব।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বানিয়ারচর ক্যাথলিক গির্জার ফাদার ডেভিড ঘরামী বলেন, সকাল ৯টায় আমাদের গির্জায় প্রার্থনা শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। প্রার্থনা শেষে এদিন দুপুরে প্রীতিভোজের আয়োজন করা হয়েছে। এতে এক হাজার ২০০ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেবেন বলে আশা করছি। বিকেলে সুধীজনের সাথে বড় দিনের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।
সংবাদটি শেয়ার করুন,