সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত ঢাকায় কমেছে তাপমাত্রা, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তরের জনপদে বইছে কনকনে বাতাস। সিলেট অঞ্চলে শ্রীমঙ্গলে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

ঢাকা শহর এতোদিন ছিল অনেকটাই ব্যতিক্রম। কয়েকদিন ধরে নগরে ঠাণ্ডা অনুভূত হলেও এর প্রভাব ছিল মূলত রাতে। দিন থেকেছে রৌদ্রকরোজ্জ্বল। ফলে শীতটা সেভাবে টের পাওয়া যায়নি। এবার ঠান্ডা লাগতে শুরু করেছে রাজধানীবাসীর মাঝেও। পৌষের ১৯তম দিনে এসে মঙ্গলবার জবুথবু নগরবাসী। একদিনের প্রভাবে ঢাকায় তাপমাত্রা কমে গেছে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) ঢাকার জনজীবন অনেকটাই শীতকাতর। সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন পুরো শহর। হাতিরঝিল কুয়াশায় ঢাকা। দুপুরের দিকেও ঝিল ঘিরে মানুষের উপস্থিতি ছিল। তবে অন্যদিনের তুলনায় কম। কনকনে ঠান্ডায় ভিড় বেড়েছে চায়ের দোকানে। অনেকেই বলাবলি করছিলেন, শৈত্যপ্রবাহের কারণেই বুঝি বেড়েছে শীতের প্রভাব।

তবে আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, শৈত্যপ্রবাহ আছে শুধু বৃষ্টির জন্য বিখ্যাত শ্রীমঙ্গলে। দেশের আর কোথাও এর তেমন একটা প্রভাব নেই।

ঢাকায় এত ঠান্ডা কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানালেন, রাজধানী ঢাকায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমে গেছে অন্তত ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সঙ্গে আছে হিমেল হাওয়া। সেজন্য ঠান্ডাটা তীব্রভাবে অনুভূত হচ্ছে।

তিনি বলেন, শ্রীমঙ্গল ছাড়া দেশে আর কোথাও শৈত্যপ্রবাহ নেই। সিলেটের এই জনপদে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে দিনের তাপমাত্রা অনেক কমে গেছে। আর সেজন্য বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।

‘রাতের তাপমাত্রা গত কয়েকদিন ধরেই কম রয়েছে। দিনে সূর্যালোক থাকায় সেটা তীব্রভাবে টের পাওয়া যায়নি। তবে আজ (মঙ্গলবার) দেশের অনেক জায়গায় ৪ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে। আর ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা কমেছে ৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঢাকায় মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন একই সময়ে তা ছিল ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ। ঢাকায় মঙ্গলবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সারা দেশের মধ্যে কুমিল্লা ও রাজশাহীর বদলগাছীতে মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। এছাড়া বেশিরভাগ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১২ থেকে ২৩ ডিগ্রির ঘরে উঠা-নামা করেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে, ২৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

হঠাৎ করে তাপমাত্রা এতোটা কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ভারতের দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার অঞ্চলে একটা কুয়াশা অঞ্চল ছিল। সেটি ধীরে ধীরে বেড়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এজন্য শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। এই প্রভাব আরও চার থেকে পাঁচদিন থাকবে।

আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য মাত্রার কোনো শৈত্যপ্রবাহের আলামত নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে বিচ্ছিন্নভাবে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা কমতে পারে। জানুয়ারি মাসে এক থেকে দুটি মাঝারি ও তীব্র শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস থাকলেও সেটি অনুভূত হবে আরও পরে।

সংবাদটি শেয়ার করুন,

Spread the love

Leave a Reply

Specify Facebook App ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Facebook Login to work

Specify Twitter Consumer Key and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Twitter Login to work

Specify LinkedIn Client ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for LinkedIn Login to work

Specify Youtube API Key in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Youtube Login to work

Specify Google Client ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Google and Youtube Login to work

Specify Instagram App ID and Instagram App Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Instagram Login to work

Your email address will not be published. Required fields are marked *