বিদায়ী বছরে গাইবান্ধা জেলায় নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার-২৬৫ জন

২০২১সালে  বিদায়ী বছরে গাইবান্ধা জেলায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৫৫টি। চলতি বছরে২০২২ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নারী শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছেন ২৬৫ টি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানা গেছে। তবে শুধুমাত্র হাসপাতালের রেকর্ড ফাইলের ভিকটিম তথ্যসূত্র মতে এই প্রতিবেদনটি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের রেকর্ড ফাইল অনুযায়ী এই তথ্য নেওয়া হয়েছে। জানিয়াছেন সদর হাসপাতালের অফিস সহকারী মাসুদ রহমান।

তবে বিদায়ী ২ বছরে করোনাসহ নানা ঘটনা পার হয়েছে ২০২১ – ২২ সাল। এ জেলায় ২০২০ সালে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল ২২০টি। তবে প্রতিবেদন অনুযায়ী বিদায়ী সালে ধর্ষণ ঘটনা আগের চেয়ে এ দুই বছরে বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাইবান্ধায় ২০২২সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এ প্রতিবেদন তৈরি করে, গত কয়েক বছর ধরে উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধিসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয় বলে জানা গেছে।

তবে লেখক ও গবেষক প্রবীন সাংবাদিক রফিক উদ্দিন আহমেদ (ডিজু) বলেন বিকৃত যৌন আকাঙ্খাই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন ধর্ষনের আসল রুপ ।

তবে বেশির ভাগেই অল্প বয়সের মেয়েরা মোবাইল ফোন ব্যবহারে সহজলভ্যতার কারনে পন্যগ্রাফী দেখে আবেগ প্রবনতায়
অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন এদিকে দিনের পরদিন সামাজিক মুল্যবোধের অবক্ষয় কে দোষছেন লেখক ও গবেষকরা,

তবে নেট দুনিয়ায় ভাসছে অবৈধ সম্পর্কের দৌড়।
মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক একপর্যায়ে তারা আবেগে অবৈধ মেলামেশায় লিপ্ত হয়, জোর করে ধর্ষণসহ, পরকিয়া সমপর্ক,স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য এর কারন বলেও উল্লেখ করেন। 

দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঘটনাবহ ধর্ষণ, অন্যদিকে ধর্ষণের শিকার হওয়া পরিবারটি সারা জিবনের জন্য পারিবারিক ভাবে মুখলজ্জায় পরে যায়, এতে করে মেয়েটির জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার, আবার কোন সময় ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েটি আত্মহত্যার পথ বেচেঁ নেয় বলে জানা গেছে।

আবার কিছু পরিবার অসচ্ছল-গরিব হওয়ায় যা প্রভাবশালীর খপ্পরে পরে ভিন্নখাতে রুপ নেয় যা টাকার বিনিময়ে মিমাংসাও হয়ে যায়। এছাড়াও শালিশ বৈঠক করে অনেকেই মিমাংসা করে নেয়। এতে করে ওই ধর্ষণকারী আরো ভয়ংকর হয়ে উঠে । আবার যথাযথ প্রমান না থাকায় আইনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায় ধর্ষণকারী। তাই ভাবিয়ে তুলেছে সুশীল সমাজকে।

এবিষয়ে রাইট টু লাইফ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনের মাধ্যমে কঠোর শাস্তির যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন নিশ্চিত করলে তা কমিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব বলে মনে করেন।

অন্যদিকে শিক্ষানবীশ আইনজীবী সালাউদ্দিন কাসেম মনে করেন আইনের মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হওয়া মেয়েটির পূর্নবাসন সহ এর মানুষিক ভাবে বেড়ে উঠা ও তার বিনা খরচে আইনি সহায়তা প্রয়োজন বলেও মনে করেন।

এতে করে আইনের মাধ্যমে ওই বখাটের শাস্তি যেমন নিশ্চিত হবে তেমনি শারিরিক নির্যাতনের শিকারও কম হবে বলে জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন,

Spread the love

Leave a Reply

Specify Facebook App ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Facebook Login to work

Specify Twitter Consumer Key and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Twitter Login to work

Specify LinkedIn Client ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for LinkedIn Login to work

Specify Youtube API Key in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Youtube Login to work

Specify Google Client ID and Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Google and Youtube Login to work

Specify Instagram App ID and Instagram App Secret in the Super Socializer > Social Login section in the admin panel for Instagram Login to work

Your email address will not be published. Required fields are marked *