শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ধরে রাখতে সারাদেশে সাত হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবারও ‘মিড ডে মিল’ চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা তৈরি করতে মাউশির বিদ্যালয় শাখাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে দ্রুত সময়ে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সেই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনিটরিং জোরদার ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করা কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ জানুয়ারি মাউশির মাসিক সমন্বয় সভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আবারও মিড ডে মিল চালুর প্রস্তাব আসে। সেটি উপস্থিত সব কর্মকর্তা সম্মতি প্রদান করেন। সভায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর জন্য মাধ্যমিক শাখাকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিলেটের অগ্রগামী স্কুরে মিড ডে মিল উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত ৭ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিড মে মিল চালু ছিল। ২০১৮ সালে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার এবং জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ প্রোগ্রাম চালুর কথা উল্লেখ রয়েছে। এ কার্যক্রম চালুর লক্ষ্যে পরবর্তী সাতদিনের মধ্যে মাউশির বিদ্যালয় শাখার পরিচালককে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে মহাপরিচালকের কাছে দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক অধ্যাপক বেলাল হোসাইন রোববার (১৫ জানুয়ারি) জাগো নিউজকে বলেন, ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের সাত হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু ছিল। এ কার্যক্রম সিলেট থেকে শুরু করা হয়। করোনার কারণে সেটি গত তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। এ কার্যক্রম আবারও চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা মাঠ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে নতুন প্রস্তাবনা তৈরি করবো। সেখানো আরও বিদ্যালয়ের সংখ্যা বাড়ানো যায় কি না সেটিও বিবেচনা করা হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাউশি। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা পরিদর্শন ও মূল্যায়ন উইং থেকে জমা দেওয়া হলেও সেটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয়নি। সে কারণে এ কার্যক্রম পরিদর্শন ও মূল্যায়ন উইংকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে মাউশিতে কর্মরত সব কর্মকর্তাকে প্রতিদিন সকাল ১০টার মধ্যে (কর্মদিনে) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে টেলিফোনে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে খোঁজখবর নিতে নির্দেশ দিয়েছেন মহাপরিচালক।
যেসব জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা যথাযথভাবে দায়িত্ব বাস্তবায়ন করতে পারছেন না তাদের একটি তালিকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সব উপজেলায় তিন বছরের অধিককাল ধরে একই কর্মস্থলে যারা আছেন তাদের তালিকাও তৈরি করা হবে। যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না তাদের তালিকা তৈরি করে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয় সভায়।