জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকরা। এতে অনেকে শ্রেণিকক্ষে অনুপস্থিত থাকছেন। আর অনুপস্থিত শিক্ষকদের নিয়ে এবার কঠোর নির্দেশনা দিলো ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের কঠোর নির্দেশনার পর এবার শিক্ষা বোর্ড থেকে নির্দেশনা এলো।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতে কঠোর নজরদারির নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। নির্দেশনায় অনুপস্থিত শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যাপারে গর্ভনিং বডি ও প্রধান শিক্ষককে কঠোর হতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে’ এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার অধীন স্কুল-কলেজের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট সদস্যদের দৃষ্টি আকর্ষণপূর্বক জানানো যাচ্ছে যে, স্কুল-কলেজের শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিয়মিত ক্লাস এবং নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক-কর্মচারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থেকে পাঠদান কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কঠোরভাবে নজরদারি করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ সমুন্নত রাখার বৃহত্তর স্বার্থে বিষয়টি ‘অতীব জরুরি’। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার সব দায়ভার সংশ্লিষ্ট গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সদস্যদের ওপর বর্তাবে। এ ব্যাপারে সবার একান্ত সহযোগিতা কাম্য।
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে শিক্ষকদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি নিশ্চিতে একাধিকবার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এমনকি দৈনিক অনুপস্থিত শিক্ষকদের তালিকা পাঠানোর নির্দেশনাও দিয়েছে মাউশি।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ক্লাসে ফেরেননি। আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন- শোকজ বা যত ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক না কেন, দাবি আদায় না করে তারা ক্লাসে ফিরবেন না।
গত ১১ জুলাই থেকে দাবি আদায়ে শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি করছেন। বুধবার (২৬ জুলাই) টানা ১৬ দিনের মতো তারা এ কর্মসূচি করছেন।