কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, বিএনপি না এলেও যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে, কয়েকদিনের মধ্যেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষিত হবে। কোনো দল নির্বাচনে না এলে নির্বাচন হবে না এরকম কোনো বিধান সংবিধানে নেই। বিএনপি না এলেও আরও অনেক দল নির্বাচনে আসবে। কাজেই যথাসময়েই নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, কে এলো, কে না এলো সেটি বড় কথা নয়। সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে, এই নিশ্চয়তা আমরা দিচ্ছি।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পীরগাছা সেন্ট পৌলস উচ্চ বিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তাকে সংবিধানের সকল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এক ধরনের সার্বভৌমত্ব দেওয়া হয়েছে। কেউ যদি নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা করে সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে যেকোনো সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা বা চাকরিচ্যুত করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন হবে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন বানচাল করার চেষ্টা করছে। এজন্য তারা গত ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে আগুন সন্ত্রাস করছে। যানবাহনে আগুন দিচ্ছে, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০১৪-১৫ সালের মতো আবার আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। প্রতিদিন গাড়িতে আগুন দিচ্ছে। পুলিশকে পিটিয়ে মেরেছে। এগুলো করে বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। রাজনীতি-গণতন্ত্রের নামে হরতাল-অবরোধ আর আগুন সন্ত্রাস করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপিকে ছাড় দিতে পারে না। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার প্রশ্নে কোনো আপস হবে না।
শোলাকুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলীর সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমীন, সেন্ট পৌলস্ ক্যাথলিক গির্জার পাল পুরোহিত ফাদার লরেন্স, পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার আব্দুল গফুর মন্টু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. মীর ফরহাদুর ইসলাম মনি, ইউপি চেয়ারম্যান সাদিকুর ইসলাম, সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউর করিম বেনু, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক খ. আলমগীর হোসেন শিমুলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দিনব্যাপী এ মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ৬ হাজার রোগীর ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হয়। চিকিৎসক ছিলেন ১২০ জন।