বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ১৮ বছরের সবাইকে সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যা বিশ্বের অনেক দেশে আছে। প্রত্যেক নাগরিক ১-২ বছরের সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন।
রোববার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র বিনির্মাণে মুক্তিযোদ্ধাদের করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল। মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা দলের জয়নুল আবদীন, এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, পাহাড়ের লোকজন সহজ সরল। তাদের ভুল পথে পরিচালিত করার ষড়যন্ত্র হয়। জিয়াউর রহমানের শক্ত পদক্ষেপের কারণে পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আমি প্রতিবেশী দেশ ভারতকে বলবো, তাদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে উসকানি দেবেন না। যুদ্ধ করতে হলে বাংলাদেশের সব মানুষ কিন্তু যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
গত জুলাই-আগস্টে আন্দোলন প্রসঙ্গে হাফিজ বলেন, শুধু ছাত্রদের আন্দোলনে বিপ্লব হয়নি। বিএনপি ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়েছে। আমি বলবো, সবাইকে স্মরণ করবেন। ড. ইউনূস একজন মুক্তিযোদ্ধা। তিনি আমেরিকায় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কথা বলেছেন। কাজ করেছেন। ছাত্রজনতা সবার সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমাদের সবার রোগ হলো দুর্নীতি। এর বিরুদ্ধে আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশের দেশ ভারত থেকে সেটা শিখতে পারি। তাদের দেশে আইন করা আছে যে প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণিত হলে তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে সরাসরি জেলখানায় নিয়ে যাওয়া যায়। সে ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ আমাদেরও দিতে হবে। দুদককে শক্তিশালী করতে হবে। সংসদ নেতা, বিরোধীদলীয় নেতা ও প্রধান বিচারপতি দুদক চেয়ারম্যানের নিয়োগ দেবেন। যেটি ভারতে রয়েছে।