
জাতিসংঘ বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় গুলশান-২ এর বাসভবনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস। এ বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল যে শর্তগুলোর কথা বলছে, এসব শর্ত নিয়ে তাদের (জাতিসংঘ) কোনো বক্তব্য নেই। তারা বলেছে যে, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। এটা হলে তাদের ভালো লাগবে। আমরাও বলেছি যে, আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। সেখানে বিএনপির মতো বড় দল আসুক, আমরা সেটি চাই। কারণ নির্বাচন যত প্রতিযোগিতামূলক হবে, নির্বাচনটি দেশে-বিদেশে ততই গ্রহণযোগ্য হবে। তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য আমরা কারও ওপর জোর করতে পারি না। এটা তাদের ব্যাপার। নির্বাচন তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তারা (বিএনপি) বাংলাদেশের একটি বড় দল, রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা তাদের অধিকার। সে অধিকার তারা প্রয়োগ করবে, এটাই আমরা আশা করি।

বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের কথা আগেও বলেছে জাতিসংঘ। গত ১ আগস্ট নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন ইস্যুতে একজন সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক বলেছিলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক। আমাদের অবস্থান এটাই।
একইদিন বাংলাদেশ বিষয়ে একটি টুইট করেন শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র্যাপোর্টিয়ার ক্লেমেন্ট ভউল। টুইটে তিনি লেখেন- চলমান প্রতিবাদ-বিক্ষোভে সহিংসতা ও গ্রেপ্তারের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই অবস্থায় সব পক্ষকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি আমি। আমি কর্তৃপক্ষকে তাদের দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি যে, তারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার নিশ্চিত করবে এবং অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য বিরোধী মতকে সম্মান করা গুরুত্বপূর্ণ।
আজকের বৈঠকে অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব) মো. ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ এ. আরাফাত।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের সাথেও আলাপ করেছি, এটা একটু ভিন্ন। অন্যরা খুব বেশি নির্বাচন রিলেটেড। এখানে তারা (জাতিসংঘ) দেখলাম উন্নয়নের বিষয়টাকে খুব গুরুত্ব দিচ্ছে। এসডিজি, ডেভলপমেন্ট, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, এসব নিয়ে তারা জানতে চেয়েছে। আমাদের উন্নয়নমূলক কাজগুলোকে তারা প্রশংসার চোখে দেখছে। এতে তারা খুশি। বাংলাদেশ এতো এগিয়ে যাচ্ছে এবং সামনে কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন আছে সেগুলো তারা জানে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বের যে উচ্চতা সেটা নিয়েও প্রশংসা করেছে।