আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনতে গণসংযোগ করছেন গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ফারজানা রাব্বী বুবলী।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন হয়। আপনারা অতীতের মতো আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ দেখতে পাবেন।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সাঘাটা উপজেলার পদুমশহর ইউনিয়নের স্কুলের বাজার, মিয়ার বাজার ও নয়াবন্দর এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের লিফলেট বিতরণকালে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় তিনি জনসমাবেশ করে ও ভোটারদের ঘরে-ঘরে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চান।
ফুলছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারজানা রাব্বী বুবলী তার বক্তব্যে বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার জনবান্ধব সরকার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবাই নিরাপদে শান্তিতে ও স্বস্তিতে থাকে, দেশ এগিয়ে যায়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ।’
তিনি বিগত বছরে ওই এলাকার উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণের সেবক হতে চাই। সকল সামাজিক সমস্যা দূরকরণে সর্বদা জনগণের পাশে থাকবো। আমি স্থান করে নিতে চাই আপনাদের হৃদয়ে, কথার মাধ্যমে নয়, আমার কাজের মাধ্যমে। এলাকার জণগণের সেরা করার প্রয়াস নিয়ে এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।’
স্থানীয় ভোটাররা বলেন, ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলা ভাঙনকবলিত অনগ্রসর একটি এলাকা। এই জনপদের গরিব-অসহায়, দুস্থ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া আজীবন পরিশ্রম করে গেছেন। তার মৃত্যুতে ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষ যখন নেতৃত্বশূন্যতার আশঙ্কা করছে তখন তারই মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলীর ওপর ভরসা করতে চাইছে। প্রায় ২০ বছর ধরে রাব্বী পরিবারের সাথে ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলার মানুষের আত্মার সম্পর্ক।
উপজেলার স্কুলের বাজারের মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘মরহুম ভেলু ভাই যেভাবে ফুলছড়ি-সাঘাটার মানুষের সেবা করে গেছেন, তার প্রতিচ্ছবি আমরা ভেলু ভাইয়ের কন্যা ফারজানা রাব্বী বুবলীর মাঝে পেয়েছি।
এলাকাবাসী আরো জানান, মানুষের বিপদে-আপদে ফারজানা রাব্বী বুবলী কাজ করে যাচ্ছেন।
এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা তার সাথে ছিলেন।