বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জীবনী নিয়ে রচিত ‘খালেদা জিয়া : এ বায়োগ্রাফি অব ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। ইংরেজিতে বইটি লিখেছেন অধ্যাপক কাজী কাইউম শিশির।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।
গ্রন্থটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন ও গ্রন্থের ওপর আলোচনা করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সাবেক মন্ত্রিপরিষদসচিব এ এস এম আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদিন ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল উদ্দিন সবুজ।
বিশেষ বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর ড. খালেকুজ্জামান। আরো বক্তব্য দেন নাট্যব্যক্তিত্ব আজিজ আহমেদ ও প্রফেসর আতাউর রহমান প্রমুখ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মুহাম্মদ জমির উদ্দিন সরকার বলেন, ‘ডেমোক্রেসির যে একটা বায়োগ্রাফি আছে, সেটাই এই বইটা। বইটির লেখককে তিনি এ জন্য ধন্যবাদ জানান।’
লেখককে ধন্যবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি জয়নুল আবেদিন বলেন, “বইটিতে সুন্দর করে বেগম খালেদা জিয়ার জীবন-বৃত্তান্ত তুলে ধরেছেন লেখক। গেল ১৫ বছর আমাকে মূক ও বধির করে রাখা হয়েছিল।
বইটি প্রশংসিত, অনেক অজানা তথ্য এই বইটিতে রয়েছে।”
পাশের দেশ ভারত এখনো আমাদের ওপর প্রভুত্ব পরিচালনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বইটি নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে বক্তারা বলেন, এই বইটিতে এমন কিছু আছে, যেগুলো আগামী প্রজন্ম যেন জানতে ও শিখতে পারে, সে বিষয়টি মাথায় নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড তাদের দশম-একাদশ শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে যোগ করতে পারে। এই প্রজন্ম জানে না দেশের গণতন্ত্র উদ্ধার ও বেগম খালেদা জিয়ার জীবন-বৃত্তান্ত। কিভাবে তিনি রাজনীতিতে এলেন, কী করেছেন।