লক্ষ্মীপুর-৩ এ গোলাম ফারুক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে শাহজাহান আলম লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর) আসনে উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী গোলাম ফারুক পিংকু ১ লাখ ২০ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু। তিনি পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট।
রবিবার (৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন বেসরকারিভাবে পিংকুকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এদিকে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের (সরাইল ও আশুগঞ্জের ইউএনও) কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফলে নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু।
লক্ষ্মীপুরে নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাতীয় পার্টির জেলা কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাকিব হোসেন (লাঙল)। তিনি পেয়েছেন ৩৮৪৪ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী জাকের পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য সামছুল করিম খোকন (গোলাপ ফুল)। তিনি পেয়েছেন ২১২৬ ভোট।
বেসরকারিভাবে নির্বাচিত গোলাম ফারুক পিংকু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
তবে এদিন ভোট চলাকালে দুপুর সোয়া ২টার দিকে জাল ভোট, কেন্দ্রে এজেন্ট ঢুকতে না দেওয়া ও বের করে দেওয়ার অভিযোগ এনে জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির প্রার্থী ভোট বর্জন করে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বার্ধক্যজনিত কারণে লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শাহজাহান কামাল মারা যান। তার মৃত্যুতে ৪ অক্টোবর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ১১৫ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। আসনটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) উপনির্বাচনে ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ১৩৩টি কেন্দ্রের সবকয়টিরই ফল এসেছে। এতে নৌকা প্রতীকে শাহজাহান আলম সাজু পেয়েছেন ৬৬ হাজার ৩১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী এ আসনের সাবেক এমপি অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা কলার ছড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৫৮ ভোট।
লাঙ্গল প্রতীকে অ্যাড আব্দুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন ৩ হাজার ১৪২ ভোট, গোলাপ ফুল প্রতীকে জাকের পার্টির মো. জহিরুল ইসলাম জোয়েল পেয়েছেন ৫৬১ ভোট ও আম প্রতীকে পিপলস পার্টির আব্দুর রাজ্জাক পেয়েছেন ৭৩৯ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এই ভোটগ্রহণ চলে। ভোটের পরিবেশ সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণ থাকলেও প্রকাশ্যে সীল মারা, এজেন্ট বের করে দেওয়া ও ভোটার লিস্টে ইচ্ছাকৃত গড়মিলসহ অনিয়মের অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাড জিয়াউল হক মৃধা। এ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন মোট পাঁচজন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া মারা যাওয়ায় এই আসনটি শূন্য হয়। পরে এ আসনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির দলছুট নেতা আব্দুস সাত্তার ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) থেকে বিএনপির মনোনয়নে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গত বছরের ডিসেম্বরে দলীয় সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেন তিনি।