আগামী পাঁচ বছরে ৬০ লাখ কর্মী বিদেশে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নুরুন্নবী চৌধুরীর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে সংসদে এ তথ্য জানান প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন।
শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানো একটি চলমান প্রক্রিয়া। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদৃষ্টি এবং সঠিক ও সময়োপযোগী কূটনৈতিক তৎপরতায় স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য অভিবাসন এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় ৬ হাজার ৮৭ জন কর্মী পাঠানোর মধ্যদিয়ে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের যাত্রা শুরু হয়। সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের ফলে বিদেশে কর্মী পাঠানো উত্তরোত্তর বেড়েছে। ২০২২ সালে ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন কর্মী বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য যান। ২০২৩ সালে এ সংখ্যা ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জনে উন্নীত হয়েছে।
এমপি আনোয়ার হোসেন খানের অপর একটি প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারের কূটনেতিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালদ্বীপ এবং মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো পুনরায় শুরু করা সম্ভব হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হতে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে ১৭টি দেশের সাথে সমঝোতা স্মারক/চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নতুন নতুন দেশ যেমন কম্বোডিয়া, সিসেলস, হার্জেগোভিনা, রোমানিয়া, উজবেকিস্তান, ইউক্রেন, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, চীন ইত্যাদি দেশে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন ১০৪টি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং ৬টি ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজীতে (আইএমটি) ৫৫টি ট্রেডে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব দক্ষ জনবলের দেশ এবং বিদেশে কর্মসংস্থান হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের চাহিদা অনুযায়ী পুনঃপ্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ফেরত আসা কর্মীদের পুনরায় বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।