
বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ও শহীদ রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শনিবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৩টায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাসূত্রে জানা যায়, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের ৫১তম আবর্তনের এক শিক্ষার্থীর বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করার জেরে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোর পর্যন্ত চলমান এ সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে ১৬ জন শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় জাবির চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৬ জন গুরুতর আহত হয় বলে জানান চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক। এছাড়াও তিনজনকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র মো. মিরাজ বলেন, গত বুধবার রাতে রফিক-জব্বার হলের কয়েক শিক্ষার্থী তাঁর বান্ধবীকে উত্ত্যক্ত করেন। গতকাল রাতে তাঁদের মধ্যে রাফি নামের একজনকে হলের বন্ধুদের সঙ্গে রবীন্দ্র চত্বরে দেখতে পান। এ সময় উত্ত্যক্তের ঘটনার কথা জানতে চাইলে রফিক-জব্বার হলের কয়েকজনের সঙ্গে তাঁর হলের (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল) কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। পরে দুই হলের সিনিয়ররা এসে বিষয়টি সমাধান করে দেন। কিন্তু হঠাৎ রাত সাড়ে তিনটার দিকে রফিক-জব্বার হলের শিক্ষার্থীরা হামলা চালান।
এ বিষয়ে নাজমুল হাদান বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা খুবই অনাকাক্ষিত। এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। ক্যাম্পাসের ভিন্ন একটি জায়গায় ঘটা একটি ব্যাক্তিগত ঘটনা এখানে টেনে আনায় এতো বড় ঘটনা ঘটেছে। এই ধরনের ঘটনার নিন্দা জানাই। যারা ছাত্রসুলভ আচরণ করছেনা তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিচার হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রনি হোসাইন বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। এ ঘটনায় আমরা একটি প্রথমিক প্রতিবেদন দিবো। এ ছাড়া ঘটনার অধিকতর তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।