১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮, বৃহস্পতিবার) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে অনেক তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার, শফিউর, সালাম, বরকত সহ অনেকেই। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৭ নভেম্বর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের অক্লান্ত লড়াই ও আত্মত্যাগের পর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়, যে দেশের ভিত্তি ছিল বাংলা ভাষা। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে নতুন বাংলাদেশ শপথ নেয় নিজের মাতৃভাষা বাংলার প্রতি দায়বদ্ধতার কথা মনে রেখে।
এক বক্তব্যে শ্রমিক নেতা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন, জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে মোঃ কামাল হোসেন এবং শ্রমিক নেতা মোঃ মোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ এর প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পাঘ্য অর্পণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশন কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে নেতৃবৃন্দরা পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ বীমা কর্পোরেশন সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শোয়েব হোসেন, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বেলাল হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজার নেতৃত্বে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমন্বায়ক এমএ মিলন মিয়া আহসান সিদ্দিক সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন ভাষা আন্দোলন কেবল ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা ছিল না এটি একটি জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয় ও প্রতিষ্ঠান সংগ্রাম। ভাষার জন্য যারা বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের সকলকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।