তিন বছর পর ভাষার মাসের প্রথম দিনেই শুরু হয়েছিল ভাষাশহীদদের স্মরণে আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা। করোনার কারণে গত দুই বছর তেমন একটা সুবিধা করতে না পারলেও এবারের মেলা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন প্রকাশকরা। দেখতে দেখতে মেলা গড়িয়েছে শেষ সপ্তাহে। আর সময় বাকি আছে তিন দিন। তাই মেলায় বিক্রেতা ও পাঠকের মাঝে বইছে বিদায়ের সুর।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ছিল মেলার ২৫তম দিন। এবারের মেলার শেষ ছুটির এই দিনেও ছিল না ছুটির তেমন কোনও আমেজ। দর্শনার্থী ও ক্রেতার সমাগমে মেলা প্রাঙ্গণ ভরে ওঠে কানায় কানায়।
প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা জানান, মেলায় সব সময়ই শেষ দিকে একটা অন্য ধরনের আমেজ থাকে, যা বিশেষভাবে লক্ষ করা যায় ২১ বা ২২ ফেব্রুয়ারির পর। এ সময় পাঠকরা একটু বেশি আসেন। দর্শনার্থীদের তুলনায় ক্রেতা বেশি আসেন। বই কেনেন তারা। এবার সেই আমেজ গতকাল (শুকবার) থেকেই লক্ষ করা যাচ্ছে। গত দুই মেলার চেয়ে এবার ভালোভাবেই চলছে। এবার বইয়ের দাম বাড়ার কারণে প্রকাশকরা কিছুটা আশঙ্কায় থাকলেও পাঠকরা আশানুরূপ বই কিনেছেন।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মহাকালের স্বত্বাধিকারী আমজাদ হোসেন বলেন, গত দুই মেলার চেয়ে এটা ভালো হয়েছে। এখন শেষ দিকে দর্শনার্থীদের তুলনায় ক্রেতা বাড়ছে। তারা আসছে, বই কিনছেন।
মূর্ধন্য পাবলিকেশন্সের বিক্রয়কর্মী মারুফ শাহরিয়ার বলেন, এবারের মেলা আগের দুই মেলার চেয়ে ভালো হয়েছে। বইয়ের দাম বাড়ার পরও পাঠক ভালোই বই কিনছেন। প্রতিবার আমরা মেলার শেষ দিকে যেই আমেজ দেখতে পাই, এবার সেটা ২৪ তারিখ থেকে দেখা যাচ্ছে। আগামীকালও হয়তো এমন থাকবে। শেষ দুই দিন পাঠকের সমাগম ব্যাপকভাবে বাড়ার সম্ভবনা আছে।
মেলায় আসা পাঠকরা লিস্ট ধরে বই কিনতে দেখা গেছে। মেলায় বসুন্ধরা থেকে এসেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদ সানোয়ার। তিনি গত পাঁচ দিন এসেছেন মেলায়। এসে ক্যাটালগ সংগ্রহ করে বই পছন্দের লিস্ট তৈরি করেছেন। এসেছেন সেই লিস্টের বই সংগ্রহ করতে। তিনি বলেন, মেলা তো প্রায় শেষ। তাই শেষ হওয়ার আগেই পছন্দের তালিকার বই কিনতে চলে এলাম। নতুন বইয়ের সঙ্গে বছরটা যেন ভালোভাবে কাটাতে পারি।