
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) সরবরাহ করা মশার লার্ভা নিধনের জৈব কীটনাশক বিটিআই (বাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস) আমদানিতে প্রতারণার দায়ে মার্শাল এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ডিএনসিসি।
প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আজই (সোমবার) গুলশান থানায় মামলা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
সোমবার (২১ আগস্ট) রাতে ডিএনসিসি মুখপাত্র মকবুল হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিটিআই আমদানিতে প্রতারণার দায়ে মার্শাল এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আজই মামলা করা হবে। ডিএনসিসি কর্মকর্তারা মামলা করার জন্য থানায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে ব্যাকটেরিয়া আমদানিতে উত্থাপিত জালিয়াতির অভিযোগ ও টেন্ডার প্রক্রিয়াসহ সার্বিক বিষয় তদন্ত করতে নিজেদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ডিএনসিসি। ১০ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমে ব্যবহৃত কীটনাশক সরবরাহের কাজ পায় মার্শাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি ৫ হাজার কেজি জৈব কীটনাশক ডিএনসিসিকে সরবরাহ করে। একইসঙ্গে দাবি করে- এগুলো বিটিআই বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সিঙ্গাপুরে উৎপাদিত। কিন্তু সরবরাহকৃত কীটনাশক সিঙ্গাপুরের উৎপাদিত এবং সরবরাহকৃত নয় বলে ওই কোম্পানির ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
পরবর্তীতে মার্শাল এগ্রোভেট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে পরপর ২টি চিঠি দিয়ে ব্যাখ্যা চায় ডিএনসিসি। এরপর গত ১৭ আগস্ট মার্শাল এগ্রোভেটের পাঠানো চিঠির বিষয়ে মশক নিধন কীটনাশক ও যন্ত্রপাতি কারিগরি ও যাচাই কমিটির অনুষ্ঠিত সভায় পর্যালোচনা করা হয়।
পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি সরবরাহকৃত বিটিআই পণ্যটি যে বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড সিঙ্গাপুরে উৎপাদিত এবং সরবরাহ করা হয়েছে এর স্বপক্ষে কোন প্রমাণ দাখিল করতে পারেনি।
এ বিষয়ে সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ডিএনসিসিকে জানিয়েছে, মার্শাল এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বিটিআই সরবরাহ করেনি বেস্ট কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এছাড়া মার্শাল এগ্রোভেট বেস্ট কেমিক্যালের নিযুক্ত পরিবেশক না।