সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চল থেকে বাঘ গণনার কাজে বসানো ট্র্যাপিং করা ক্যামেরার মধ্যে ৮টি ক্যামেরা বিনষ্ট ও চুরির ঘটনায় ১৪ জেলে ও মাঝিকে আটক করেছে বন বিভাগ।
সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করে চুরির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) একেএম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া জেলে ও মাঝিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল ওহাব, আবুল হোসেন, মো. মহিবুল্লাহ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, আমজাদ হোসেন, আছাদুল ইসলাম, রিপন হোসেন, বাবর আলী, আমজাদ হোসেন (২), ইউনুস আলী, মুন্নাফ গাজী ও আকবর হোসেন। তারা সবাই সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও খুলনায় কয়রা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
বন বিভাগ জানায়, সুন্দরবনে বাঘ শুমারি (গণনা) ২০২৩ চলছে। ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহারে বাঘ গণনার কাজ চলছে। এজন্য ক্যামেরা ট্র্যাপিং গ্রুপ সুন্দরবনের বিভিন্ন অঞ্চলে গাছে গাছে ক্যামেরা স্থাপনের কাজ করছে। এর ভেতরে সাতক্ষীরা রেঞ্জে ৩৭৬টি ক্যামেরা স্থাপন করা হলেও নোটাবেঁকী অভয়ারণ্য অঞ্চলে স্থাপিত ৮টি ক্যামেরা চুরি হয়ে যায়। পরে অনুসন্ধান করে সুন্দরবনের নোটাবেঁকী এলাকা থেকে ৮টি ক্যামেরা চুরি হওয়ার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। সে অনুযায়ী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে সুন্দরবনের দুইটি স্টেশন দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বন বিভাগ।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) একেএম ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ক্যামেরা চুরির ঘটনায় গত ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়। সাতক্ষীরার আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসিএফ আরও বলেন, ক্যামেরা চুরির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার জন্য বন বিভাগের একাধিক দল কাজ করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত যারা হোক, সবাইকে দ্রুত চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।