বরিশালের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত চার শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করা হয়েছে। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই শিশুরা। শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই নার্সকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে থেকে জানা গেছে, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৯ মাস বয়সী তছলিম বালী ও ১৭ মাস বয়সী সুব্রত কান্তি পালকে শনিবার হাসপাতালে ভর্তি করান স্বজনরা। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে হাসপাতালের নার্স ঝুমা মিস্ত্রি ও কনিকা হালদার ওই শিশুদের শরীরে স্যালাইন পুশ করেন। তবে সেই স্যালাইনের মেয়াদ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে শেষ হয়ে গেছে। স্যালাইন পুশ করার পর পরই শিশুদের পেট ফুলে উঠতে থাকে এবং বমি করতে শুরু করে শিশুরা। পরে রোগীর স্বজনরা খুঁজে বের করেন স্যালাইনের মেয়াদ নেই। এই দুই শিশু ছাড়াও আরও দুই শিশুর শরীরে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অসুস্থ শিশু তছলিমের স্বজনরা বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইনের বিষয়ে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা বলেন- ভুলতো মানুষেরই হয়। এই স্যালাইনও ভুল করে পুশ করেছেন নার্সরা। আর নার্সরা বলেছেন- বেখেয়ালে মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করেছেন।
সুব্রত কান্তি পালের স্বজনরা বলেন, পৌনে ১২টায় স্যালাইনটি দেয় আর শেষ হয় পৌনে ৪টায়। এরপরপরই বাচ্চার হাত-মুখ সব ফুলে যায়। বমি করতে শুরু করে। আমরা ওই দুই নার্সের বিচার চাই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা দিয়েছি। কী কারণে এই মেয়াদোত্তীর্ণ স্যালাইন পুশ করেছে এ নিয়ে দুই নার্সকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।