রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট(আমাই ) কর্তৃক মাতৃভাষা বিষয়ক বিশ্বকোষ ‘মাতৃভাষা পিডিয়া’ প্রকাশের উদ্যোগে ‘মাতৃভাষা পিডিয়ার ভুক্তি লিখন’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩জুলাই ২০২৩) সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত একাডেমিক ভবন-২ এর সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মো.হাসিবুর রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন) মোহাম্মদ জাকীর হোসেন এবং কারমাইকেল কলেজ প্রফেসর ড. মো: আমজাদ হোসেন প্রমুখ ।
মাতৃভাষা পিডিয়া ভুক্তি লিখন শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন পর্বে প্রধান অতিথি মাতৃভাষা পিডিয়ার লেখন পদ্ধতি ও লিখিত বিষয় নিয়ে মূল আলোচনা করেন। রংপুর অঞ্চল সম্পর্কে আলোচনা করে এই অঞ্চল বাংলাদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে তাঁর মতামত ব্যক্ত করেন।
সভাপতির ভূমিকায় প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ বলেন, ভাষাকে গুরুত্ব দেয়া মানে জাতি,গোষ্ঠী সংস্কৃতির ও নৃগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দেওয়া।তাই প্রত্যেককে ভাষার গুরুত্ব বুঝতে হবে।মাতৃভাষা পিডিয়া প্রকাশের লক্ষ্য মাতৃভাষা পিডিয়া সাধারণ বিশ্বকোষ নয়। এটি হবে প্রধানত প্রত্যেকের মাতৃভাষায় ব্যবহৃত ধ্বনি, শব্দ, বাক্য, শব্দের ব্যুৎপত্তি, শব্দ ও বাক্যের অর্থ ও প্রয়োগ, ভাষার ব্যাকরণসহ ভাষা-সংশ্লিষ্ট সামগ্রিক আলোচনাসমূহ একটি বিশ্বকোষ।এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাতৃভাষা পিডিয়ার জন্য কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধান অতিথির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
উল্লেখ্য, পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষা সংরক্ষণ, নথিবন্ধকরণ এবং ব্যাকরণ তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট একটি নিবেদিত অনন্য প্রতিষ্ঠান। বিশ্বকোষ বা পিডিয়া প্রকাশের মধ্য দিয়ে সে উদ্দেশ্য অনেকাংশেই চরিতার্থ হয়।
তাই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কর্তৃক আগামী দুটি অর্থ-বছরের (২০২২-২০২৩ এবং ২০২৩-২৪) মধ্যে মাতৃভাষা পিডিয়া প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মাতৃভাষা পিডিয়া মাতৃভাষা মানে মায়ের ভাষা, অথবা এমন কোনো ভাষা যা ব্যক্তির বিকাশের জন্য সর্বাধিক গুৰুত্বপূৰ্ণ।
১৯৯৯ সালের ১৭ই নভেম্বর ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি প্রদান করে। এই স্বীকৃতি পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা সংরক্ষণে বাংলা ভাষাকে দায়বদ্ধ করে তুলেছে। এই দায়বদ্ধতা থেকে সকল মাতৃভাষার বিশ্বকোষ তৈরির প্রত্যাশা নিয়ে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মাতৃভাষা পিডিয়া প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে।