বেনাপোল আন্তর্জাতিক কাস্টমস চেকপোস্টে বিদেশগামী যাত্রীদের জাল ভ্রমনকরের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া চক্রের মূল হোতা শামীম চৌধুরীকে আটক করেছে বন্দরের নিরাপত্তা দায়িত্ব নিয়জিত আর্মস ব্যালিয়ানের সদস্যরা।
দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ কর জাল করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে শামীম চৌধুরী। বিদেশ ভ্রমণ কর জাল করে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছিল এই চক্রটি।
বৃহস্পতিবার(১৬নভেম্বর)দুপুরে স্থানীয় বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকা থেকে ট্যাক্স জালিয়াতির কাজে ব্যবহ্রত ল্যাপটপ,প্রিন্টার, জাল ভ্রমনকরের রশিদ ও সোনালী ব্যাংকের সীল সহ শামীম হোসেন নামে জালিয়াতি চক্রের মূল হোতাকে আটক করা হয়।এ সময় ভারতগামী ৮জন পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে ৮টি জাল ভ্রমনকর রশিদ ও জব্দ করা হয়।
আটক শামীম চৌধুরী বেনাপোলের সাদিপুর গ্রামের আব্দুল মোমিনের ছেলে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, জাল ভ্রমন ট্যাক্স ফাঁকির সাথে আরও ৫ থেকে জন জড়িত। তারা দীর্ঘদিন ধরে ভারতগামী পাসপোর্টযাত্রীদের সিরিয়াল ছাড়া পুলিশ ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ দ্রুত করে দেওয়ার কথা বলে ভ্রমনট্যাক্সের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে যাত্রীদের কাছ থেকে। আটক শামীমের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৫ জুলাই বেনাপোল পোর্ট থানায় ট্যাক্স জালিয়াতির মামলা রয়েছে। মামলায় সে জামিনে রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
বেনাপোল বন্দরের নিয়জিত আর্মব্যাটালিয়নের সন্জীব কুমার জানান, আটক শামীমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমন কর জালিয়াতি করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছিল বলে স্বীকার করেছে।তার বিরুদ্ধে গত বছরে বেনাপোল পোর্ট থানায় আরও একটি ট্যাক্স জালিয়াতির মামলা চলমান রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান,দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোল চেকপোস্টে বিদেশগামী যাত্রীদের ভ্রমন কর জালিয়াতির একটি শক্তিশালী চক্র সরকারের রাজস্ব ফাকি দিয়ে আসছিল।এ ধরনের একটি গোপন সংবাদ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার(১৬নভেম্বর)দুপুরে
প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ট্যাক্স জালিয়াতির চক্রের মূল হোতা শামীমকে হাতে নাতে আটক করা হয়।
ট্যাক্স জালিয়াতি কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও প্রিন্টার উদ্ধার করা হয়। আটক শামীমকে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।