
নওগাঁর পোরশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা সেবার নিয়মে পরিণত হয়েছে। ডাক্তারদের উদাসীনতা,অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপণার কারণে সরকারী স্বাস্থ্য সেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালটিতে।
এর ফলে যথাযথ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা নিতে আসা অসহায় মানুষগুলো।
জানা যায়, এখানে ৮ জন ডাক্তার কর্মরত থাকলেও নিয়মিত হাসপাতালে রোগী ‘না দেখে হাসপাতালের সামনের ফামের্সিগুলোতে কিংবা নিজ চেম্বারে রোগী দেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ডাক্তরা। এতে রোগীদের পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে। যার ফলে এ উপজেলার বিশাল জনগোষ্ঠি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে হাতুড়ে কিংবা ওঝা কবিরাজের দিকে ঝুকছে।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখো যায়, জরুরী বিভাগে কয়েক জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। জরুরী বিভাগে অধিকাংশ সময় কর্মরত চিকিৎসক থাকেন না। বহিঃবিভাগেরও একই চিত্র
সময় মতো ডাক্তার না আসায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের কে। রোগীদেরকে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে ফিরে যেতে হয় বাধ্য হয়ে। এসব নিম্ন আয়ের মানুষকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ডাক্তারের ফার্মেসী চেম্বার বা বাসায় যেতে হয়। হাজিরা খাতায় চিকিৎসকদের হাসপাতালে উপস্থিতি দেখানো হলেও দুই একজন হাসগাতালে থাকলেও অন্যরা ব্যস্ত থাকে চেম্বার নিয়ে। চেম্বারে রোগী দেখার জন্য ফার্মেসী বা বাসায় থাকে। এছাড়াও দ্বিতীয় তলায় প্রদর্শিত সাইনবোর্ডে দেখা যায়, সেখানে পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি ১১ জন ও মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি ১৪জন ভর্তি দেখানো হয়েছে।
বাস্তবে পুরুষ ওয়ার্ডে ৪-৫ জন রোগী আর মহিলা ওয়ার্ডে ৮-৯ জন রোগী রয়েছে। অপরিস্কার আর ময়লা আর্বজনায় ভরা ওয়ার্ডের টয়লেটগুলো।
শুধু ব্লাড টেস্ট ছাড়া আর অন্য কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষাও হয় না। আর ওষুধ কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধি উৎপাত তো আছে।
চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ, তাদের নিয়মিত দেখতে আসেন না চিকিৎসকরা। আবার কখনো দেখতে গেলেও রোগের বিস্তারিত শুনতে চান না, কেবল নামেই রোগীর ফাইল দেখেন। এরপর লিখে দিয়ে সেগুলো খাওয়ানোর নির্দেশনা দিয়ে চলে যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কর্মস্থলে থাকেন না সপ্তাহে দুই দিন আসেন আবার তাড়াহুড়া করে চলে যান বিভাগীয় শহর রাজশাহী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ তৌফিক রেজা বলেন- অনেক সময় রোগী বেডে না থাকার কারণ তারা হিসাব দিতে পারেনা বিষয়টি আমি দেখছি।
সংবাদটি শেয়ার করুন,